Blow Sankha Benefits

সকাল-সন্ধ্যা শাঁখে ফুঁ দিচ্ছেন, জানেন অজান্তেই শরীরের কত উপকার হচ্ছে?

শাঁখ বাজানোর প্রাচীন রীতির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যও। পরিবারের মঙ্গলকামনায় শাঁখে ফুঁ দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু এতে শরীরে বিভিন্ন উপকারও হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১৪:১৭
Share:

সকাল-সন্ধে শাঁখ বাজাচ্ছেন? জানেন শরীরে তার প্রভাব কী? ছবি: সংগৃহীত।

তুলসীতলায় সন্ধ্যাবাতি দিয়ে শাঁখ বাজানোর রীতি এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত। সময়ের বদলে, জায়গার অভাবে ব্যস্ত শহরের বেশির ভাগ বাড়িতে এখন আর আলাদা করে বড় উঠোনে তুলসী মঞ্চ থাকে না। বাড়ির বদলে এখন জায়গা করে নিয়েছে আকাশ ছোঁয়া বহুতল। তবে ফ্ল্যাটের এক ফালি বারান্দাতেও ছোট্ট টবে তুলসী গাছ থাকে প্রায় প্রতি ঘরেই। সকাল-সন্ধ্যা পুজো ও শাঁখ বাজানোর রীতি এখনও মেনে চলেন বহু মহিলাই।

Advertisement

পুজো বা কোনও শুভ অনুষ্ঠান, শঙ্খধ্বনি ছাড়া তা সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু জানেন কি, এই প্রাচীন রীতির সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গ। সকাল, সন্ধ্যা নিয়ম করে শাঁখে ফুঁ দিলে শরীরের কতটা উপকার হয়?

১. শাঁখ বাজানো এক ধরনের প্রাণায়াম বলেই মনে করা হয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে। শঙ্খ বাজাতে গেলে গভীর ভাবে শ্বাস নিতে হয়। সেই শ্বাস দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ছাড়তেও হয়। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শ্বাসযন্ত্রের ব্যয়াম হয়। সকাল-সন্ধ্যার পুজোয় তিন বার পরপর শাঁখ বাজানোর রীতি প্রচলিত। দিনে সে ক্ষেত্রে হয় ছ’বার। এই ভাবে শাঁখ বাজানোর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে একটা ছন্দ থাকে, যা শরীরের পক্ষে ভাল।

Advertisement

২. মন ও স্নায়ুতন্ত্রের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। শাঁখ বাজানোর পর মন শান্ত হয়ে যায়। শাঁখ বাজানোর ফলে যে কম্পন উৎপন্ন হয়, তা মস্তিষ্কেও পৌঁছয়। শাঁখ বাজালে মন শান্ত হয়, কখনও কখনও উদ্বেগও কমে।

৩. শাঁখে একটি নির্দিষ্ট কায়দায় ফুঁ দিতে হয়। এতে থাইরয়েড গ্রন্থি ও ভোকাল কর্ডের ব্যায়াম হয়।

৪. শাঁখ বাজানোর ফলে সামগ্রিক শরীরেই তার প্রভাব পড়ে। নিম্নাঙ্গের পেশিতে চাপ পড়ার ফলে মূত্রনালি, ব্লাডার, তলপেটের ভাল ব্যয়াম হয়।

৫. শাঁখ বাজাতে গেলে জোরে ফুঁ দিতে হয়। এর ফলে মুখের মাংসপেশির ব্যায়াম হয়। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফোলা গাল ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।

সতর্কতা

শঙ্খধ্বনি শুনলেও মন শান্ত হয়। তবে অনেক উপকারিতা সত্ত্বেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চ রক্তচাপ, গ্লকোমা, হার্নিয়ার মতো সমস্যা থাকলে শাঁখ না বাজানোই ভাল। এতে বিভিন্ন পেশির উপর চাপ পড়ে। যা এই ধরনের রোগীর পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement