পছন্দের কোন কোন খাবার গরমের দিনে এড়িয়ে চলবেন? ছবি: সংগৃহীত।
গরমের তীব্র প্রবাহ থেকে বাঁচতে ঘন ঘন নুন-চিনির শরবত খাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও শরীর খারাপ করছে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিস পৌঁছতে পৌঁছতেই যেন ক্লান্তি ঘিরে ধরছে শরীরে। গরমে যে খুব বেশি তেলমশলাদার খাবার খাচ্ছেন, তা-ও নয়। হালকা-পাতলা খেয়েও যেন সারা দিন অস্বস্তি কাজ করছে শরীরে। গ্লাসের পর গ্লাস জল খেলেও শরীর ঝিমিয়ে পড়ছে। এমন কিছু খাবার আছে, যা গরমের সময়ে শরীরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন, কোন কোন খাবার গরমের দিনে এড়িয়ে চলবেন।
গরমের কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?
১) অনেকেরই খাওয়ার পাতে আলাদা করে নুন খাওয়ার অভ্যাস আছে। গরমের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে লস্যি, লেবু-নুন-চিনির শরবতে চুমুকও দিচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন, ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে যাওয়ার ফলে একটু বেশি পরিমাণ নুন খেলে এই সময়ে কোনও ক্ষতি হবে না। এই অভ্যাস কিন্তু আদৌ ঠিক নয়। নুন অর্থাৎ, সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া ছাড়াও নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। কিডনির জটিলতা বেড়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
২) গরম পড়েছে বলে চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না? এই অভ্যাসের ফলে দেহের বাড়তে থাকা তাপমাত্রা জলের ঘাটতি তৈরি করে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই এই সময়ে গরম পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল।
৩) এমন কিছু মশলা রয়েছে, যেগুলি খেলে দেহের উত্তাপ বেড়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত ঘাম হয়, গায়ে র্যাশ, ব্রণ, ফোড়া হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এ ছাড়া, অতিরিক্ত মশলা দেওয়া খাবার খেলে হজমের সমস্যাও হয়।
৪) খেতে যতই ভাল লাগুক, এই গরমে ভাজা খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। ভাজা জাতীয় খাবারও কিন্তু শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে। এ ছাড়াও, গরমে এ সব খাবার হজম করাও বেশ সমস্যার।
৫) গরমের দুপুরে পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে খেতে মোটেই ভাল লাগে না। শরীর ঠান্ডা রাখতে হালকা, পাতলা ডাল বা ঝোলের সঙ্গে অল্প একটু লেবুর বা কাঁচা আমের আচার হলে মন্দ হয় না। আচারে যে হেতু নুনের মাত্রা বেশি থাকে, তাই এই অভ্যাসে শরীরে জলের পরিমাণও বেড়ে যায়। এ ছাড়া, আচারের মধ্যে নানা রকম মশলাও থাকে। যেখান থেকে হজমের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।