এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে কাজ করলে অবসাদ আসে। ছবি- প্রতীকী
রাতে ঘুম ভালই হয়। তবু কাজের ফাঁকে বার বার হাই তোলেন? দুপুরে খাওয়ার পর যেন কিছুতেই আর বসে থাকতে পারেন না? এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে কাজ করলে অবসাদ আসে। কিন্তু নিত্যদিন এ ভাবে চলতে থাকলে মনঃসংযোগের অভাবে কাজের ক্ষতি হয়। বার বার হাই তোলা, আড়মোড়া ভাঙার মতো উপসর্গ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চোখে আপনার প্রতি বিরূপ ধারণা তৈরি করতে পারে। ফলে প্রতি দিন যদি এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তবে মেনে চলতে হবে কয়েকটি টোটকা।
কী করলে কাজে আসবে গতি?
১) কাজের ফাঁকে অল্প অল্প খাবার খেতে হবে। অনেক ক্ষণ এক জায়গায় বসে, একই কাজ করলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। অফিসের কাজ করতে করতেই মুখ চালান। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বীজ, মাখনা, ডার্ক চকোলেট তৎক্ষণাৎ আপনার ক্লান্তি কাটিয়ে দিতে পারে। চিনা চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয়েছে, বার বার এই ধরনের ছোট ছোট খাবার মস্তিষ্ককে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।
২) প্রাতঃরাশে রাশ টানবেন না। বরং দিন শুরু করুন কার্বহাইড্রেট এবং দানাশস্য মেশান যৌগ দিয়ে। ওট্স বা মিলেট পরিজ, লাল চিঁড়ের পোলাও, লাল চালের ধোসা বা ইডলি প্রাতঃরাশের জন্য ভাল।
৩) চেয়ারে বসে বসেই একটু স্ট্রেচ করে নিন। মেরুদণ্ড সোজা করে বসা অভ্যাস করুন।
৪) এক টানা বসে কাজ না করে, আধ ঘণ্টা অন্তর হেঁটে আসুন। মাঝেমধ্যে বিরতি নিলে ক্লান্ত ভাব কাটবে, আবার কাজে সৃষ্টিশীলতার ছাপও থাকবে।
৫) মিষ্টিজাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে। হঠাৎ রক্তে শর্করার উপস্থিতিতে ইনসুলিন ক্ষরণের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে অনেক সময়েই ক্লান্ত লাগে।
৬) ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে চা খেতে পারেন। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ তুলসী-গ্রিন টি বা অরেঞ্জ-মিন্ট টি কাজের অবসাদ কাটিয়ে মনকে ফুরফুরে করে তুলবে। পাশাপাশি, শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন দূর করে ওজন বৃদ্ধির প্রবণতাও রুখে দেবে।