ডায়াবেটিকরা কি কিশমিশ খেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
শীত পড়ার মুখেই শিশুদের নানা রকম শুকনো ফল, কাজু-কিশমিশ খাওয়ানোর রেওয়াজ ছিল। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা রকম রোগ উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। তার মধ্যে ডায়াবিটিস অন্যতম। যার ফলে এমন অনেক কিছুই খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে মিষ্টি জিনিস। তাই কিশমিশ খাওয়া উপকারী জেনেও এখন খেতে ভয় পান। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলেই যে সব ধরনের মিষ্টি খাবার খাওয়া বারণ, এমন ধারণা কিন্তু নয়। ফ্রুক্টোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে যে সব খাবারে, সেই সব খাবারও পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। তার জন্য রক্তে শর্করার মাত্রায় খুব একটা হেরফের হয় না। তার মধ্যে অন্যতম হল কিশমিশ।
কী কী উপকার হয় কিশমিশ খেলে?
১) কিশমিশে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এ সব রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
২) কিশমিশে রয়েছে গ্লুকোজ় এবং ফ্রুক্টোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা। যা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ কোনও হেরফের হয় না। এ ছাড়া, কিশমিশে থাকা ফাইবার অতিরিক্ত শর্করা শোষণ করতেও বাধা দেয়।
কিশমিশ ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কিশমিশে বিশেষ এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। তা ছা়ড়া, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে কোষের ক্ষতি হওয়া রুখে দিতে পারে কিশমিশ।