বেশি বিস্কুট খেলে কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
সেই সকালে একমুঠো ভাত খেয়ে কাজে বেরোন। তার পর দুপুরের খাবার খেতে খেতে বেলা গড়িয়ে যায়। তবে, তার মাঝে অগুনতি বার চা-পর্ব চলে। সঙ্গে কখনও মারি, কখনও রাস্ক, কখনও টোস্ট, ক্র্যাকার, আবার কখনও নিমকিও থাকে। এমনিতে খুব একটা বিস্কুট খাওয়া হয় না। কিন্তু, অল্প খিদেয়, খুচখাচ মুখরোচক, তেলেভাজা খাবার না খেয়ে বিস্কুট খেয়ে নেন অনেকেই। আপাত ভাবে নিরীহ হলেও এই বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। কেন জানেন?
নেটপ্রভাবী এবং পুষ্টিবিদ অমিতা গাডরে বলছেন, বিস্কুট তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। আর ময়দা পেটের জন্য একেবারেই ভাল নয়। বিশেষ করে খালি পেটে ময়দার তৈরি বিস্কুট খেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া কুকি বা বিস্কুটের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। অথচ সেই ক্যালোরি কিন্তু কোনও উপকারে লাগে না। প্রোটিন, ভিটামিন বা খনিজ বলতে কিছুই নেই।
ওজন কমাতে চাইলে বিস্কুট এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমাতে চাইলে বিস্কুট এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ বিস্কুটে চিনির পরিমাণ অনেকখানি। নুনের পরিমাণও কম নয়। চিনি এবং নুন যে ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট, তা বলে না দিলেও চলে। চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাসে ঝুঁকি থেকে যায় গ্যাস-অম্বলের। এমনকি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো ক্রনিক সমস্যাকেও বিপদসীমার মুখে দাঁড় করায়।
তা হলে কি চায়ের সঙ্গে একেবারেই বিস্কুট খাওয়া যাবে না? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বিস্কুট কেনার সময় দেখে নিতে হবে, তার মধ্যে ফাইবার আছে কি না। ফাইবার সমৃদ্ধ বিস্কুট খেলে এই ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিস্কুট ছাড়াও চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন মাখানা, কাঠবাদাম। উপকার পাবেন। তবে, একান্তই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেতে হলে পরিমাণে রাশ টানতে হবে।