চিকিৎসা বিজ্ঞানে নয়া দিশা? ছবি: সংগৃহীত
পিরামিড থেকে মমি, প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি নিয়ে এখনও বিস্ময়ের শেষ নেই মানুষের। এ বার সেই প্রাচীন মিশরের এক প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিই না কি বাঁচাতে পারে হাজার হাজার প্রাণ! কেমব্রিজের এক দল গবেষকের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, প্রাচীন মিশরীয়দের ধর্মাচরণ পদ্ধতিতে একটি বিশেষ ভাবে ছিদ্র করা হত মাথায়। কিছুটা সেই পদ্ধতিতেই বাঁচানো যেতে পারে বহু মানুষের প্রাণ।
বিজ্ঞানী পিটার হাচিনসনের নেতৃত্বে হওয়া গবেষণাটি বলছে, ‘ডিকমপ্রেসিভ ক্রেনিয়েকটমি’ নামক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যে রোগীদের চিকিৎসা হয়, তাঁদের বাঁচার আশা সাধারণ প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতিতে চিকিৎসা হওয়া রোগীদের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ বেশি। মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে, অনেক সময় মাথার ভিতর তরল জমে যায়। আর এই তরল সঞ্চিত হওয়ার ফলে মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশে চাপ পড়ে। রক্তসঞ্চালনও ব্যাহত হয়। চিকিৎসা না হলে এর ফলে মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু হতে পারে, যা ডেকে আনতে পারে স্মৃতিভ্রংশ ও পক্ষাঘাতের সমস্যা, এমনকি মৃত্যুও।
প্রতীকী ছবি ছবি: সংগৃহীত
ডিকমপ্রেসিভ ক্রেনিয়েকটমি পদ্ধতিতে রোগীর খুলিতে ছিদ্র করে দেওয়া হয়। ফলে মস্তিষ্কের চাপ কমে। পরে মস্তিস্ক সুস্থ হয়ে গেলে ছিদ্রটি বন্ধ করে সেলাই করে দেওয়া হয়। ৪০৮ জনের উপর করা এই গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে মস্তিস্ক সংক্রান্ত বিখ্যাত পত্রিকা জেএএমএ নিউরোলজিতে। গবেষণাটি বলছে, সাধারণ ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা চলা রোগীদের তুলনায় অস্ত্রোপচারের হওয়া রোগীদের দু’বছর বেঁচে থাকার আশা প্রায় ২১ শতাংশ বেশি।