উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে যাঁদের, সে সব রোগীর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ছবিঃ সংগৃহীত।
গরম গরম হিংয়ের কচুরি আর ধোঁয়া ওঠা আলুর দম— বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। রান্নায় হিঙের ব্যবহার বহুদিনের। মশলা হিসাবে হিংয়ের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানো হিংয়ের একমাত্র কাজ নয়। শরীর ভাল রাখতেও হিং দারুণ উপকারী। ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ হিং শরীরের অনেক সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে। হিং আদতে সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই। কোন কোন শারীরিক সমস্যার মোকাবিলা করতে ভরসা রাখতে পারেন হিংয়ের উপর?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে শুকনো কাশি, গলা খুসখুস, শ্বাস নিতে অসুবিধা, নাক বন্ধ থাকার সমস্যা লেগেই থাকে? নিয়মিত হিংয়ের জল খেলে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। এই ঋতুবদলের সময়ে নিয়মিত খেতে পারেন এই পানীয়।
ব্যথা উপশম করে
ঋতুস্রাবের সময়ে অনেক মহিলারই তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এই সময়ে হিংয়ের জল খেলে ওষুধের চেয়ে দ্রুত আরাম পাবেন। মাথাব্যথা করলেও এই পানীয় খেলে আরাম পাবেন।
হিং আদতে সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই। ছবিঃ সংগৃহীত।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্য আছে সে সব রোগীদের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হিং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তা ছাড়া রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি বেশ উপকারী।
রান্নার সময়ে তো দিতেই পারেন হিং। তবে হিং খাওয়ার সেটাই একমাত্র উপায় নয়। হিংয়ের উপকারিতা পেতে এটি খাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। অনেকেই শরীর ভাল রাখতে নিয়ম করে হিংয়ের জল খান। কী ভাবে বানাবেন সেই পানীয়?
অর্ধেক চামচ হিং গরম জলে মিশিয়ে নিন। রোজ সকালে খালি পেটে এই জল খেতে পারেন। দারুণ উপকার পাবেন।