কাঠাবাদামের চা কী ভাবে তৈরি করে? ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক না দিলে চলত না। কিন্তু, এখন শরীরের কথা ভেবে আগে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খান। তার পর পাঁচ-ছ’টি জলে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে হয়েছে। তবে যাঁদের চায়ে আসক্তি রয়েছে, তাঁরা সহজে এই অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন না। আগে চা খাবেন, না কি কাঠাবাদাম, তা বুঝতে পারেন না। কেমন হয়, যদি কাঠবাদাম দিয়ে চা তৈরি করা যায়? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই পানীয়ের স্বাস্থ্যগুণ সাধারণ চায়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
সাধারণ চায়ের বদলে কাঠবাদাম দিয়ে তৈরি চা খেলে শরীরের কী এমন উপকার হবে?
১) কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, বি২ এবং ম্যাগনেশিয়াম। শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতে এই সব উপাদান প্রয়োজনীয়।
২) কাঠাবাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩) প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর এই পানীয় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৪) কাঠবাদামে যে হেতু ভিটামিন ই-এর পরিমাণ বেশি, তাই ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই বাদামের চা।
৫) কাঠাবাদামে রয়েছে রাইবোফ্ল্যাবিন এবং এল-কার্নিটাইনের মতো উপাদান। মস্তিষ্কের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং কাজকর্ম ভাল রাখতে সাহায্য করে এই দু’টি উপাদান।
৬) ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের উৎস হল কাঠবাদাম। এই পানীয়টি খেলে হাড়ের জোর বাড়ে।
কাঠবাদামের চা তৈরি করবেন কী ভাবে?
উপকরণ
১ কাপ কাঠবাদামের দুধ
১ টেবিল চামচ কাঠবাদাম বাটা
১ চা চামচ মধু
এক চিমটে ছোট এলাচের গুঁড়ো
সামান্য কেশর
১ কাপ জল
পদ্ধতি
ছোট একটি পাত্রে কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখুন। মিনিট দশেক পর খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। এ বার পাত্রে জল এবং কাঠবাদামের দুধ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে তার মধ্যে দিয়ে দিন বাদাম বাটা।
গ্যাসের আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন। এ বার চায়ের মধ্যে দিতে হবে ছোট এলাচের গুঁড়ো, মধু এবং কেশর। সমানে নাড়াচাড়া করতে হবে। না হলে পাত্রের তলা পুড়ে যেতে পারে।
মিনিট দুয়েক পর গ্যাস বন্ধ করে পাত্রের মুখে ঢাকা দিয়ে রাখুন। তার পর কাপে ঢেলে পরিবেশন করুন।