—প্রতীকী ছবি।
ঘড়িতে অ্যালার্ম বাজা মাত্রই ঘুম ভেঙেছে। বাড়ির সব কাজ সময়ে শেষ করেও গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে কোনও দিনই নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে উঠতে পারছেন না। সকলেই যে ইচ্ছে করে, জেনে-বুঝে দেরি করছেন, এমনটা একেবারেই নয়। মনোবিদেরা বলছেন, আসলে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে কোন কাজে কতটা সময় ব্যয় করছেন বা কাজ করব ভেবে কাজ শুরু করার আগেই কতটা সময় ব্যয় হয়ে যাচ্ছে, সেই হিসাব বুঝতে পারেন না অনেকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে ‘ধর তক্তা, মার পেরেক’ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। চিকিৎসা পরিভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় ‘টাইম ব্লাইন্ডনেস’।
—প্রতীকী ছবি।
মনোবিদদের মতে, গোটা জীবনের কোনও না কোনও সময়ে এই ‘টাইম ব্লাইন্ডনেস’-এর শিকার হয়েছেন। যদিও বহু চিকিৎসকই এটিকে কোনও রোগের পর্যায়ভুক্ত করতে নারাজ। তবুও সময় সম্পর্কে সম্যক কোনও ধারণা না থাকাকে একদল চিকিৎসক আবার ‘নিউরোডেভেলপমেন্টাল’ সমস্যা বলেই মনে করেন। কোনও জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ে না পৌঁছলে সেখান উপস্থিত অন্যদের নজর থাকে তাঁর উপর। দেরি করে পৌঁছনোর পিছনে ‘অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজ়অর্ডার’ বা ‘এডিএইচডি’-র মতো সমস্যাও থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসেকরা। তবে ‘এডিএইচডি’ থাকলেই যে সময় সম্পর্কে কোনও ধারণা থাকবে না, এমনটা নয়। চিকিৎসক, মনোবিদ বেকি স্পেলম্যান বলছেন, “এই ধরনের সমস্যা কিন্তু মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। চোখের সামনে ঘড়ি থাকলেও সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারা অনেক সময়েই নিজের চিন্তা বা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। এই রোগ সারিয়ে তোলার তেমন কোনও ওষুধ নেই। তবে কিছু জিনিস অভ্যাস করতে পারলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।”
দেরিতে অফিস পৌঁছনোর অভ্যাস কাটাবেন কী করে?
১) ফোনে বা ঘড়িতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। ২) অনেক ক্ষণ ধরে একটা কাজ না করে, ছোট ছোট করে কাজ ভাগ করে নিন। ৩) কোন দিন, কোন সময়ে, কোন কাজ করবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে লিখে রাখুন।