সকালে উঠেই খালি পেটে বেশ কয়েকটি কারিপাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণ ভারতীয় প্রায় সব খাবারেই কারিপাতা থাকে। বাঙালি রান্নায় চানাচুর আর বিশেষ কোনও পদ ছাড়া কারিপাতার ব্যবহার নেই বললেই চলে। তবে শুধু যে কারিপাতার গন্ধের জন্যই তা খাবারে ব্যবহার করা হয়, তা কিন্তু নয়। এই পাতার নানা রকম উপকারিতাও রয়েছে। কারিপাতার মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই— যা পেট থেকে শুরু করে চুল, ত্বক, ডায়াবিটিস এবং মেদ ঝরাতেও কাজে লাগে। এ ছাড়াও আরও এমন কিছু মারণরোগও ঠেকিয়ে রাখতে পারে কারিপাতা।
১) ‘জানার্ল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড টক্সিকোলজি’তে বলা হয়েছে, কারিপাতায় থাকা ফ্ল্যাভনয়েড কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কারিপাতার ‘অ্যান্টি-মিউটেজেনিক’ গুণ ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আটকায়।
২) চিকিৎসকেরা বলেন, বেশি বয়সে মস্তিষ্কের স্নায়ুর জটিল রোগ অ্যালঝাইমার্স প্রতিহত করতেও সাহায্য করে কারিপাতা। কারিপাতার নির্যাসে বিভিন্ন রকম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলিকে সুরক্ষিত রাখে এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
৩) সকালে উঠেই খালি পেটে বেশ কয়েকটি কারিপাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। এই অভ্যাসে হার্টের বহু সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’এ প্রকাশিত একটি তথ্যে বলা হয়েছে, নিয়মিত কারিপাতা খেলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যদিও এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে গেলে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
৪) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও বিশেষ ভাবে কার্যকরী কারিপাতা। এই পাতায় থাকা বিভিন্ন যৌগ ডায়াবিটিসের ফলে হওয়া কিডনির ক্ষতিও প্রতিহত করতে পারে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
৫) কারিপাতায় রয়েছে কারবাজ়োল এবং অ্যালকালয়েড্স। যা শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বিশেষ ভাবে কাজ করে। ডায়েট এবং শরীরচর্চা পাশাপাশি সকালে খালি পেটে বা রান্নায় নিয়মিত কারিপাতা খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত।