মন দিয়ে খাওয়ার যে কত উপকার তা জানেন? ছবি- সংগৃহীত
যত ভাল খাবারই হোক, কাজে বেরোনোর আগে পাত পেড়ে খাওয়ার সময় হয় না। রোজই প্রায় নাকেমুখে গুঁজে দৌড়তে হয়। আবার কখনও খেতে খেতে চোখ রাখতে হয় মোবাইল বা ল্যাপটপের পর্দায়। খাওয়া এবং কাজ সমান তালে চালাতে গিয়ে অনেক সময়েই কী খেলেন, বা সেই খাবারের স্বাদ কেমন ছিল, তা মনে করে উঠতে পারেন না অনেকে। খিদে পাচ্ছে কি না, বুঝে ওঠার আগেই অনেকটা পরিমাণ খাবার খেয়ে ফেলেন অনেকে। দেখে ভাল লাগছে বলে কোনও নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি টান থাকে অনেকের। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, যে খাবারই খান না কেন খাবারের সঙ্গে মনের সম্পর্ক গড়ে না তুলতে পারলে আদতে নাকি কোনও লাভ হয় না। ইদানীং ‘মাইন্ডফুল ইটিং’ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
‘মাইন্ডফুল ইটিং’ কী?
খাবারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার সহজ পন্থা হল এই মাইন্ডফুল ইটিং। যার নেপথ্যে রয়েছে সচেতনতা। স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন রকম পন্থা বেছে নেন। কেউ নিজের খাবার তালিকায় শুধু প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখেন। আবার কেউ শুধু তরল খাবার খেয়েই শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনার শরীর কী চাইছে বা যে খাবার আপনি খাচ্ছেন, তা আপনার জন্য আদৌ প্রয়োজন কি না, এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করাও মাইন্ডফুল ইটিং-এর মধ্যে পড়ে।
‘মাইন্ডফুল ইটিং’-এর সঙ্গে খিদের পাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে?
অবশ্যই। খিদে পেয়েছে বলে খাচ্ছেন, না কি শুধুমাত্র চোখের খিদে থেকে খাচ্ছেন, এই বিষটির ফারাক বোঝা জরুরি। খিদে না পেলেও অনেকে মন ভাল করার জন্য পছন্দের খাবার খেয়ে ফেলেন। কখনও সিনেমা বা সিরিজ় দেখতে দেখতে নিজের অজান্তেই বেশি পরিমাণ খাবার খেয়ে ফেলেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, পরিমাণে কম খাবার খেয়েও কিন্তু মনের দিক থেকে ভাল থাকা যায়। যদি খাবারের সঙ্গে সেই সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়।
রোজকার জীবনে এই ‘মাইন্ডফুল ইটিং’ অভ্যাস করবেন কী ভাবে?
পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস শুরু করতে হবে মুদিখানার বাজারে তালিকা করার সময় থেকেই। কোন খাবারের কেমন পুষ্টিগুণ তা জেনে, তবেই কিনবেন। এ ছাড়াও সারা দিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি যখন যে খাবারই খান তার স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ— সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে গ্রহণ করতে হবে। সব খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে, মনোনিবেশ করে খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।