বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ফুসফুসের দীর্ঘ সমস্যায় ভোগেন। ছবি: সংগৃহীত
হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা অনেকেরই থাকে। বয়স নির্বিশেষে ফুসফুসে এই দীর্ঘ রোগে ভোগেন বহু মানুষ। ধোঁয়া, দূষণ, ধুলো বা ভ্যাপসা জায়গায় গেলে হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে টান ধরা, কাশির মতো উপসর্গ দেখা যায় হাঁপানি রোগীদের মধ্যে। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষে এই রোগে আক্রান্ত। অথচ এখনও এই রোগ নিয়ে নানা ভ্রান্ত ধারণা ঘোরে মানুষের মনে। সবচেয়ে বড় ভ্রান্ত ধারণাগুলি জেনে রাখা ভাল।
১। শরীরচর্চা: হাঁপানির রোগ থাকলেই যে কোনও রকম খেলাধুলো করা যাবে না বা কঠিন শরীরচর্চা করা যাবে না এমন নয়। চিকিৎসা করালেই হাঁপানির বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়।
২। শৈশবের অসুখ: একমাত্র ছোটদেরই অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিতে পারে, তা নয়। এটা যেমন ঠিক যে অনেকেরই শৈশব থেকে এই রোগ ধরা পড়ে, আবার এটিও ঠিক যে বয়স নির্বিশেষে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন যে কোনও ব্যক্তি।
৩। শ্বাসের সমস্যা: অ্যাজমা থাকলেই শ্বাস নিতে অসুবিধা হবে, তেমন নয়। অনেক হাঁপানির রোগীই টানা কাশির সমস্যা হয়, কিন্তু শ্বাস নিতে তেমন কোনও সমস্যা হয় না।
৪। অকেজো ওষুধ: অনেকে মনে করেন, সময়ের সঙ্গে হাঁপানির ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়। কারণ রোগীরা ওষুধের উপরই সারা ক্ষণ নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল। বাড়তি নির্ভরশীলতা তৈরি করার মতো কোনও উপাদান থাকে না এই রোগের ওষুধে।
প্রতীকী ছবি।
৫। তেমন গুরুতর নয়: অ্যাজমার সমস্যা খুব বেশি দেখা যায় বলে অনেকেই মনে করেন, তেমন গুরুতর নয় এই রোগ। কিন্তু দীর্ঘদিন ফুসফুসের সমস্যা থাকলে এবং ঠিক চিকিৎসা না হলে, পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতেই পারে।