পুনম, নুসরত এবং যশ।
ইনস্টাগ্রামে সাদা-কালো ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, রঙিন ছবি যেমন বর্ণনা করতে পারে, তেমনই সাদা-কালো ছবি অনেক অন্য রকম কথা বলে। ঠিক কী বোঝাতে চাইলেন তিনি?
সাদা-কালোকেই অবশেষে কথা বলার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিলেন পুনম ঝা। যিনি অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। যশের বাড়িতেই তাঁর বাবা, মা আর যশের আগের পক্ষের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন পুনম। যশের সিনেমায় পদার্পণ থেকে তাঁর রাজনৈতিক কার্যাবলি— সব কিছুতেই তাঁর সিদ্ধান্ত আর ভাবনা গুরুত্ব পেয়েছিল। যশের জীবনের সব ‘ভাল’র দায়িত্ব স্বেচ্ছায় নেওয়া সেই পুনম অবশেষে যশের বাড়ি ছাড়লেন।
কোনও দিন তিনি নিজের বা যশের বিষয়ে মুখ খোলেননি। কোনও ভাবেই সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি। শোনা যায়, বিজেপি-র তৎকালীন সহ সভাপতি মুকুল রায়ের সঙ্গে যশের সাক্ষাৎকারও তাঁর উপস্থিতিতেই হয়েছিল। তার পরেই যশ বিজেপি-তে যোগ দেন এবং বিধানসভা ভোটে দাঁড়ান। হুগলির চণ্ডীতলা থেকে যশ ভোটে লড়েছিলেন বিজেপি-র টিকিটে। যদিও তিনি শেষ পর্যন্ত হেরে যান। সেই সময়েও তাঁর দেকভাল করতেন পুনম।
কিন্তু সেই দীর্ঘকালের সঙ্গী আচমকাই যশের বাড়ি থেকে চলে এলেন কেন? ওয়াকিবহাল লোকজন বলছেন, যশের জীবনে নুসরত জাহানের প্রবেশের পর্যায় থেকে তাঁর মা হওয়া— এই ঘটনাপ্রবাহই সম্ভবত পুনমের মন ভেঙে দিয়েছে। সত্যিই কি তাই? কিন্তু তা হলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যশের ‘ছায়াসঙ্গী’ হয়েছিলেন কেন পুনম? তখন তো ‘যশরত’-এর প্রেম তুঙ্গে! ঘনিষ্ঠরা জানেন, ভোটের আগে সময়টায় যশ সারাদিন নুসরতের বাড়িতে থেকে মধ্যরাতে ছেলে, বাবা-মা এবং পুনমের কাছে ফিরতেন। সেই দৈনন্দিন ঘটনাপ্রবাহে কি কখনও বিচলিত হয়েছেন পুনম? কিন্তু হলেই বা কে জানবে তাঁর কথা! তিনি তো কোনও দিনই প্রকাশ্যে আসেননি। এমনও নয় যে, তিনি যশ-লাভের পিছনে ছুটেছেন। ঘটনাপ্রবাহ বলছে, যশের জীবনে রাস্তা তৈরির ‘কারিগর’ হয়েই থেকে গেলেন তিনি।
পুনম তো জানতেন ‘যশরত’-এর প্রেমের গল্প। কিন্তু তখন তো তিনি সরে আসেননি! তা হলে এমন কী ঘটল? এখন কেন তিনি জমি ছেড়ে দিলেন? ঘনিষ্ঠদের একাংশ বলছে, পুত্র ঈশানের জন্ম হওয়ার পরে নুসরত ঘনঘনই ছেলেকে নিয়ে যশের বাড়ি হাজির হচ্ছেন। নুসরতের পক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পুনম? তাঁর কী হল!
যশ অবশ্য বলেন, পুনম তাঁর ‘কাজকর্মের দায়িত্ব’ নিয়েছিলেন। যশের কাছে পুনমের পরিচয় এটুকুই। কিন্তু পুনম? তিনি তাঁর জমি ছেড়েই দিলেন শেষ পর্যন্ত। পুনম কি এখন তা হলে যশহীন?