খেলায় জিততে এসেছিলেন ওঁরা। তাই একে অন্যকে সারা ক্ষণ সমর্থন, সহযোগিতা করেছেন। পারস্পরিক এই টানটাই নজর কাড়বে দর্শকদের। ‘দাদাগিরি’র স্মারক কি তা হলে চর্চিত জুটির হাতেই? হাসতে হাসতে শুভঙ্করের দাবি, ওটাই বড় রহস্য। জবাব মিলবে রবিবাসরীয় রাতে, জি বাংলার পর্দায়।
প্রেমে হাবুডুবু ‘যশরত’!
শেষের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন জৌলুস বাড়ছে ‘দাদাগিরি’র। ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অতিথি টলিউডের সবচেয়ে বিতর্কিত জুটি যশ দাশগুপ্ত-নুসরত জাহান। ‘দাদা’র মুখোমুখি হয়ে এ দিন তাঁরা যেমন মনের কথা জানাবেন, তেমনই অংশ নেবেন খেলায়। এবং এই প্রথম প্রকাশ্যে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে বলবেন, ‘ভালবাসি’!
মঙ্গলবার প্রকাশ্যে ক্যুইজ শো-এর ঝলক। যশ-নুসরত মানেই অজস্র কৌতূহল। তারই কিছুটা মিটল সৌরভের হাত ধরে। খেলার ফাঁকে জুটিকে কিছু প্রশ্ন করেছেন সঞ্চালক। এই প্রথম সোজাসুজি সে সব উত্তরও দিয়েছেন তাঁরা। স্লেট রঙা সিক্যুইনের ব্লেজারে ঝকঝকে যশ। সাদা শিফনে জমকালো কালো পাড়ের শাড়িতে নুসরত। তাঁদের প্রতিটি অভিব্যক্তিতে স্পষ্ট, সন্তানের মা-বাবা হওয়ার পরেও ভালবাসায় ভাটা পড়েনি। সৌরভ সে কথা জানতেও চেয়েছেন তাঁদের কাছে, এখনও কে বেশি পজেসিভ? সঙ্গে সঙ্গে দু’জনেরই লাজুক স্বীকারোক্তি, ‘‘দু’জনেই দু’জনকে চোখে হারাই।’’ নিমেষে ‘দাদা’র মন্তব্য, ‘‘সম্পর্ক একেই বলে!’’
হঠাৎ কেন ‘দাদাগিরি’-তে যশ-নুসরত? আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। শো-এর জন্মদাতার দাবি, ‘‘আগামী পর্ব দম্পতিদের নিয়ে। উপস্থিত থাকবেন বাবুল সুপ্রিয় ও তাঁর স্ত্রী রচনা এবং জয় সরকার-লোপামুদ্রা মিত্র। আমাদের মনে হয়েছিল, যশ-নুসরতকে এই বিশেষ পর্বে আমন্ত্রণ জানানো যায়। বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় ওঁরা এই মুহূর্তে সবচেয়ে চর্চিত। এবং এখনও পর্যন্ত কোনও রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চে আসেননি। তারকা দম্পতিকে আমন্ত্রণ জানাতেই ওঁরা এক কথায় রাজি।’’
যশ-নুসরতের মতোই শো খুনসুটিতে মাতিয়ে দিয়েছেন জয়-লোপামুদ্রাও। গায়িকার পোশাকের বুটিক রয়েছে। জয় সেই বুটিকের মডেল। সৌরভের কাছে এ দিন সুরকার-শিল্পীর অনুযোগ, বিনা পারিশ্রমিকে নাকি তাঁকে দিয়ে মডেলিং করান লোপামুদ্রা! সঙ্গে সঙ্গে গায়িকার চটজলদি জবাব, ‘‘তা হলে আর বেছে বেছে সুন্দর বরকে বিয়ে করা কেন!’’ শুভঙ্করের আরও সংযোজন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বেশ কিছুক্ষণ শ্যুটিং বন্ধ ছিল। তখন সমস্ত কপট ঝগড়া ভুলে সেটে পাশাপাশি বসে নাকি সেলফি তোলায় মগ্ন ছিলেন জয়-লোপামুদ্রা। কলাকুশলীরা সেই ছবি তুলে শিল্পী দম্পতিকে দেখাতেই লজ্জায় লাল!
খেলায় বা ব্যক্তিগত প্রশ্নের জবাবে যশ না নুসরত, কে বেশি অনায়াস? পরিচালকের দাবি, ব্যক্তিগত বিষয়ে সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন যশ। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন নুসরত। কারণ, যশ কলকাতার বাইরে বড় হয়েছেন। একই ভাবে, খেলায় জিততে এসেছিলেন ওঁরা। তাই একে অন্যকে সারা ক্ষণ সমর্থন, সহযোগিতা করেছেন। পারস্পরিক এই টানটাই নজর কাড়বে দর্শকদের। ‘দাদাগিরি’র স্মারক কি তা হলে চর্চিত জুটির হাতেই? হাসতে হাসতে শুভঙ্করের দাবি, ওটাই বড় রহস্য। জানতে গেলে রবিবাসরীয় রাতে চোখ রাখতেই হবে জি বাংলার পর্দায়।