বাবুল নয়, ‘রাণু মারিয়া’ গাইবেন কুমার শানু।
তারিখের পরে তারিখ। তার পরেও নাকি বাবুল সুপ্রিয় অধরাই! পূর্ব নির্ধারিত অন্য ছবির গান গেয়েছেন। কিন্তু সময় দিতে পারছেন না হৃষিকেশ মণ্ডলের প্রথম হিন্দি ছবি ‘রাণু মারিয়া’র জন্য। ছবিটি গায়িকা রাণু মণ্ডলের জীবন নিয়ে তৈরি। এই অনুযোগ স্বয়ং পরিচালকের। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল গায়কের সঙ্গে। ফোন বেজে যায় তাঁর।
এর পরেই আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করে হৃষিকেশের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘সোমবার রাতে একটি গান রেকর্ডিংয়ের কথা ছিল রাজনীতিবিদ-গায়কের। রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় এসেছিলেন বাবুলদা। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে গাইতে পারেননি। তখন নিজেই বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে এসে গানটি রেকর্ডিং করবেন তিনি। এ দিন আরও অন্য ছবির গানের রেকর্ডিং ছিল। দাদা সমস্তই বাতিল করেন। কিন্তু ফটো শ্যুট করেন আমাদের সঙ্গে। ছবির প্রচারের স্বার্থে।’’ বাবুল সুপ্রিয়র দেওয়া কথা অনুযায়ী, মঙ্গলবার লেকটাউনে ‘স্টুডিয়ো ওয়ার্ল্ড’ রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় চলে আসেন হৃষিকেশ, সঙ্গীত পরিচালক নীলাকাশ রায়।
পরিচালকের বক্তব্য, এ দিনও বাবুল আসেন। অন্য ছবির গান রেকর্ডিংও করেন। ‘রাণু মারিয়া’র গানের পালা আসতেই নাকি জানান, তাঁর শরীর ভাল লাগছে না। তিনি গাইতে পারবেন না। হৃষিকেশের দাবি, এই নিয়ে তিন দিন তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন টিম ‘রাণু মারিয়া’কে। সোম এবং মঙ্গলবারের আগেও তিনি নাকি আরও একটি তারিখ দিয়েছিলেন। সে দিনও নাকি কথা রাখেননি। অতঃকিম? পরিচালকের মতে, তিনি আর বাবুল সুপ্রিয়র জন্য অপেক্ষা করবেন কি না বুঝতে পারছেন না। গানটি হয়তো কুমার শানু গাইবেন। যদিও তাঁর সঙ্গে এখনও পাকা কথা কিছু হয়নি।
পরে বাবুল জানান, তিনি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছেন, ওই গানটি তিনি গাইবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ওঁদের বলেছিলাম, দুটোর বেশি গান আমি একদিনে গাই না। তাতে গানের প্রতি সুবিচার করা হয় না। যেদিন গাওয়ার কথা ছিল, সেদিন গিয়ে আমি দুটো গান গেয়ে এসেছিলাম। ওই গানটা বাকি রেখেছিলাম তরতাজা গলায় গাইব বলে।’’ বাবুলের আরও বক্তব্য, ‘‘আমি আমার সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম। ৮০ শতাংশ পারফর্ম করে পুরো পারিশ্রমিক নিতে চাইনি। সেটা যদিও ওঁরা না বুঝতে পারেন, তা হলে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমি ওই গানটা আর গাইব না।’’
ছবিতে মোট ১০টি গান। চার জন সুরকার সিদ্ধার্থ রায়, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, নীলাকাশ রায় এবং সন্দীপ কর সুর দিয়েছেন। সিধু, সুরজিৎ, নীলাকাশের সুর দু’টি করে গানে। নিজেরাও গেয়েছেন। পাশাপাশি, দুটো গান গেয়েছেন রাণু স্বয়ং। কণ্ঠ দিয়েছেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, পৌষমিতা পাল, শুভশ্রী দেবনাথ, সায়ন্তনী ঘোষ, মৌমিতা রায়।