টোটা রায়চৌধুরী।
ভোরের কলকাতা। শহরের চোখে তখনও ঘুম জড়ানো। ‘ফেলুদা’ কিন্তু উঠে পড়েছে। রীতিমতো স্যুট-ব্যুট পরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সঙ্গী লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায় ও তপেশরঞ্জন মিত্র। তোপসেও তুতো দাদার মতোই সাহেবসুবো। ব্যতিক্রম জটায়ু। তিনি ধুতি-পাঞ্জাবি, জহরকোটে নিখাদ বাঙালি। বিমানবন্দরের কাচের জানলা ভেদ করে সকালের নরম রোদ ছড়িয়ে পড়েছে তিন জনের মুখে-চোখে। এ বার গন্তব্য কোথায়?
আনন্দবাজার অনলাইনকে সবিস্তার জানিয়েছেন ‘ফেলুদা’ ওরফে টোটা রায়চৌধুরী। ‘‘মঙ্গলবার থেকে শ্যুট শুরু হল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ফেলুদা সিরিজ ‘দার্জিলিং জমজমাট’-এর। ভোর থেকে তারই দৃশ্যগ্রহণ চলছে নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে’’, বললেন অভিনেতা। চৈত্র আসতেই বসন্ত বাতাসে গরমের হল্কা। শ্যুট করতে গিয়ে টের পাচ্ছেন? টোটার মতে, বিমানবন্দরের পুরোটাই তো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তাই স্যুট পরেও গরম টের পাচ্ছেন না। তা ছাড়া, বহু দিন পরে আবারও তিনি ‘ফেলুদা’। সঙ্গে পুরনো সঙ্গী অনির্বাণ চক্রবর্তী (জটায়ু) ও কল্পন মিত্র (তোপসে)। সেই আনন্দে সব ভুলেছেন।
আপাতত কলকাতাতেই শ্যুট চলবে। বিমানবন্দরে তুলনায় ফাঁকা অংশে শ্যুটিং চলছে। দূর থেকে দর্শক দেখছেন। কিন্তু চাইলেও ফেলুদা এবং তাঁর সঙ্গীদের কাছে ঘেঁষতে পারছেন না। ফাঁকে ফাঁকে চলছে চা-কফির অবসর। তেমনই এক অবসরে হইচই-এর ‘ফেলুদা’ জানিয়েছেন, বেশ রাত পর্যন্তই শ্যুট হবে। কলকাতার পর্ব মিটলে তাঁরা পৌঁছে যাবেন শৈলশহর দার্জিলিংয়ে। তবে সেখানে কোথায় কোথায় শ্যুট হবে, তা ফাঁস করেননি মোটেই।
মাঝে কিছু দিনের বিরতি। চরিত্রের খাতিরে নিজেকে ফের নতুন করে ঘষামাজা করতে হল? অভিনেতার দাবি, ফেলুদা মানেই মগজ, শরীর সব সময় ইস্পাতের মতো ধারালো। তার জন্যই বাড়তি দু’কেজি ওজন ঝরিয়েছেন। চলনে-বলনে পুরনো ছন্দ ফিরিয়ে এনেছেন। আড্ডা টাইমসের হাত ধরে ‘ফেলুদা’র পোশাক গায়ে উঠেছিল তাঁর। এ বার তিনি হইচই প্ল্যাটফর্মে মগজাস্ত্রের কারবারি। বিষয়টি কি এক ঘর থেকে অন্য ঘরে পা রাখার মতো? সঙ্গে সঙ্গে ‘ফেলু মিত্তির’-এর ঘোষণা, ‘‘কফি ব্রেক শেষ। আমায় আবার শ্যুটে ফিরতে হবে।’’ বলতে বলতেই মুখে কুলুপ তাঁর!