একটা ঝড় ওঠে আর একটা করে রুদ্ধ দরজা ভেঙে যায় বলিউডের। স্বজনপোষণ, মাদকাসক্তি, মেরুকরণ... বেরিয়ে আসে চাপা দিয়ে রাখা অন্ধকার দিক। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু বলিউডকে এতটাই ধাক্কা দিয়েছে যে, চার মাসেও অভিযোগ বা পাল্টা অভিযোগের খেলা থামছে না।
মাদককাণ্ডে দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খানের মতো তারকাদের নাম জড়িয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রথম সারির কেউ এগিয়ে আসছেন না ‘সলিডারিটি’ প্রদর্শনে। খান, বচ্চন, কপূররা যেন মৌনব্রত নিয়েছেন। বিপদের দিনে কেন বলিউড কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে না, প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে।
সম্প্রতি অক্ষয়কুমার একটি ভিডিয়ো পোস্টে আবেদন করেছেন, যাতে দর্শক বলিউডের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে না নেন। বলেছেন, দু’-একজনের নাম মাদককাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়া মানে গোটা ইন্ডাস্ট্রি দাগি নয়। তবে পোস্টে তিনি একবারও প্রশ্ন তোলেননি, দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই কেন তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে! এনআরসি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব অনুরাগ কাশ্যপ আপাতত #মিটু-র অভিযোগে বিদ্ধ। তাপসী পান্নু, রিচা চড্ডারা পাশে দাঁড়িয়েছেন অনুরাগের, কিন্তু বৃহত্তর গোষ্ঠী চুপ। হাথরসের ধর্ষণের ঘটনায় কেন শাহরুখ খানের মতো তারকার তরফ থেকে কোনও বক্তব্য নেই, সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর সহকর্মী সায়নী গুপ্ত।
আরও পড়ুন: এখন সকলের নজর সিবিআইয়ের দিকেই
অন্য দিকে কঙ্গনা রানাউত যেন নিজেই এক সমান্তরাল আদালত। কে যে কখন তাঁর নিশানা হবে, কেউ বলতে পারে না। নেপোটিজ়ম, মাদক সব কাণ্ডেই কর্ণ জোহরের নাম জড়িয়েছে। রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় থাকা কর্ণের একটি পোস্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, পাশার দান বদলে যেতে সময় লাগে না। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তৈরি প্রজেক্টের পুরোভাগে রয়েছেন কর্ণ।
কেন বলিউড একজোট হচ্ছে না, সে প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে। হনসল মেহতা তার জবাবে কর্ণের প্রজেক্ট তৈরির পোস্টটি তুলে বলেছেন, ‘‘ভাই, বলিউড এটাই করছে এখন।’’ অর্থাৎ যে যার ঘর সামলাচ্ছে। বলিউডের তথাকথিত ‘স্পিরিট’ আপাতত অদৃশ্য!
আরও পড়ুন: রাজ চক্রবর্তীর নাম করে প্রতারণা, থানায় গেলেন পরিচালক