কাজলের বয়স তখন মাত্র উনিশ বছর। তাঁর বিপরীতে নায়ককে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। ভেবেছিলেন হিরো হবে দেবদূতের মতো! ছবি—সংগৃহীত
প্রায় দু’ দশকের বিবাহিত জীবন তাঁদের। প্রেম করে বিয়ে। তবে প্রথম দেখাতেই প্রেম হয়নি বলিউড তারকা কাজল আর অজয় দেবগনের। প্রথম দেখায় কাজলের মনে একেবারেই ছাপ ফেলতে পারেননি অজয়। পরে তৈরি হয় বোঝাপড়া। হয় বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে।
এক অনুষ্ঠানে কাজল জানিয়েছিলেন, ‘হালচাল’ ছবির সেটে প্রথম অজয়কে দেখেন কাজল। তখন নব্বই দশকের শুরুর দিক। কাজলের কথায়, “হালচাল- এর সেটে শুটিংয়ের প্রথম দিন। প্রযোজক এসে বললেন, ‘এই যে তোমার হিরো’। অজয় একটা কোনায় চেয়ারে বসেছিল। আমি বললাম, ‘সত্যি! এ আমার হিরো?’”
কাজলের বয়স তখন মাত্র উনিশ বছর। তাঁর বিপরীতে নায়ককে নিয়ে অনেক স্বপ্ন। ভেবেছিলেন হিরো হবে দেবদূতের মতো! কাজলের কথায়, “লার্জার দ্যান লাইফ হিরো কল্পনা করতাম। সে সেটের মধ্যে ঘুরবে, সবাই তাকে ঘিরে থাকবে। আমি তেমনটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু তেমনটা হয়নি।”
আশাভঙ্গ হয়েছিল কাজলের। অজয়-ঘরনি বলেছিলেন, “তার পর অবশ্য আমরা শুটিং শুরু করি। দেখছিলাম, ও তখনই কথা বলে, যখন কিছু বলার থাকে ওর। ধীরে ধীরে আমরা বন্ধু হয়ে উঠি। বেশির ভাগ সময় আমি বলতাম, আর ও শুনত।”
মিতভাষী অজয়েরও অবশ্য এই দিনটি নিয়ে বক্তব্য ছিল। কাজল তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করার পর ‘ভোলা’-র পরিচালক নিজের স্ত্রী সম্পর্কে বলেন, “ও নিজেই কাছে এসে আমার সঙ্গে আলাপ করেছিল। একশো ফুট দূরত্বে ছিল আমার চেয়ার। ও প্রচুর কথা বলে এখনও। আমি কখনও শুনি, কখনও শোনার ভান করি।”
অজয় এবং কাজল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৯৯ সালে। তাঁদের প্রথম সন্তান নায়সার জন্ম ২০০৩ সালে, পুত্র যুগের জন্ম হয় ২০১০ সালে।
অজয় পরিচালিত ও প্রযোজিত ‘ভোলা’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। ২ এপ্রিল ৫৪ বছরে পা রাখলেন অজয়।