Esha Deol Divorce

শাশুড়ি ও স্বামীর মেজাজ সামলে কী কী নিয়ম মানতে হত এষাকে? এত করেও বিয়ে টিকল না কেন?

শ্বশুরবাড়িতে সাত ভাইবোনের সংসার ছিল এষা দেওলের। বরাবরই নাকি স্বামী এবং শাশুড়ির মেজাজ বুঝে চলতে হয়েছে ধর্মেন্দ্র-কন্যাকে! ছিল একাধিক বিধিনিষেধ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৩
Share:

এষা দেওল। ছবি: সংগৃহীত।

২০০২ সালে নায়িকা হিসাবে ‘কোই মেরে দিল সে পুছে’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন এষা দেওল। তাঁকে সাফল্য এনে দেয় ‘ধুম’ ছবির ‘ধুম মচালে’ গানটি। তার পর বেশ কিছু ছবি আসে এষার ঝুলিতে। সেগুলি অবশ্য তেমন সফল হয়নি। মাত্র ছ’বছরের মধ্যেই কেরিয়ার গুটিয়ে যায় তাঁর। মা হেমা মালিনীর মতো সাফল্য পাননি মেয়ে। ২০১২ সালে হিরের ব্যবসায়ীকে ভরত তখতানিকে বিয়ে করে সংসারী হন এষা। মাঝে লম্বা বিরতি নেন। স্বামী, দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে সংসার করছিলেন এষা। কিন্তু ১২ বছর পরে আচমকাই ছন্দপতন। আলাদা হন ভরত-এষা। মা হেমা ও বোন অহনা দেওলকে নিয়ে তিন জনের সংসারে বড় হয়ে ওঠা এষার। কিন্তু বিয়ের পর বিরাট সংসারে গিয়ে পড়েন। শ্বশুরবাড়িতে সাত ভাইবোনের সংসার ছিল তাঁর। বরাবরই নাকি স্বামী এবং শাশুড়ির মেজাজ বুঝে চলতে হয়েছে ধর্মেন্দ্র-কন্যাকে।

Advertisement

হেমা মালিনী-ধর্মেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ কন্যা। উচ্চশিক্ষিতা। সিনেমায় কেরিয়ার সফল না হতেই বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয় এষার। তবে সফল স্বাধনীচেতা মহিলা নয়, তাঁর স্বামীর পছন্দ ছিল ‘ঘরোয়া’ মেয়ে। তাই স্বামীর মন বুঝে নানা রকম আদবকায়দা শিখে নিয়েছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তাঁর শাশুড়ি ও স্বামীর মেজাজ বুঝে চলতে হয়। সম্মতি দিয়ে ভরত বলেন, ‘‘এষা খুব ভাল ভাবে আমার মেজাজ ও আমার মায়ের মেজাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমার পরিবাররে সবার সঙ্গে এক হয়ে গিয়েছে খুব সহজে।’’ এষার শ্বশুরবাড়ি ব্যবসায়ী পরিবারে ছিল একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। শাশুড়ি চাইতেন স্বামী ঘুম থেকে ওঠার আগে উঠে পড়বেন এষা। এ দিকে স্বামীর ছিল অন্য চাহিদা। স্ত্রীর ওজন বৃদ্ধি মোটেও পছন্দ ছিল না তাঁর। একটু ওজন বাড়লেই পাঠাতেন যোগাভ্যাস শিখতে। এমনকি, স্বামীর পছন্দসই খাবারও বানাতে হবে বাড়িতে, বাইরের খাবার একেবারেই ঘরে ঢুকত না। যদিও সব কিছু মানিয়ে-গুছিয়ে এত বছর সংসার করেছেন এষা।

তবে মঙ্গলবার যৌথ বিবৃতি দিয়ে তাঁরা দু’জনেই বলেন, ‘‘আমার পারস্পরিক সম্মতিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে আলাদা হয়েছি। আমাদের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল কারণ আমাদের দুই সন্তান। এই সময় আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে গোপনীয়তা বজায় থাকবে এটাই আশা করব।’’ শোনা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বার কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকেই বাড়তে থাকে তিক্ততা। মেয়েদের সামলে, সংসার সামলে স্বামীকে সে ভাবে সময় দিতে পারতেন না এষা। তাই দূরত্ব তৈরি হয় ধীরে ধীরে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement