রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর দৌলতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন। বড় পর্দায় অভিনয় করে রচনা দর্শকের যে প্রশংসা পেয়েছেন, তার কয়েকগুণ বেশি ভালবাসা পেয়েছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ সঞ্চালনা করে। রচনাও মনপ্রাণ ঢেলে তাঁর দায়িত্ব সামলান। টেলিভিশন শো সঞ্চালনা করার পাশাপাশি শাড়ির ব্যবসাও আছে নায়িকার। কিছু দিন আগেই প্রসাধন সামগ্রীর সংস্থা খুলেছেন তিনি। তা ছাড়া ছেলে প্রণীলের পড়াশোনার দিকটাও তিনি খেয়াল রাখেন। সব মিলিয়ে ব্যস্ততার শেষ নেই রচনার। তবে তার মাঝেও বেড়াতে চলে যান। সম্প্রতি তিনি জয়পুর যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিমানে ওঠার পর এমন চমক যে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল, সেটা বোধহয় কল্পনাই করেননি রচনা।
বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ উঠতেই থাকে। কোনও সমস্যা হলে তারকারও সমাজমাধ্যমের পাতায় সরব হন। বিমানে উঠে এমন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন রচনা, এ বার সমাজমাধ্যমে তা না জানিয়ে পারলেন না অভিনেত্রী। ‘ইন্ডিগো’র দুই বিমানসেবিকার ভালবাসায় আপ্লুত তিনি। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমানে উঠতেই অবাক রচনা।
বিমানে উঠে তাঁর নির্দিষ্ট আসনে যেতেই চোখ ছানাব়ড়া রচনার। সিটের উপর চিপ্স, চকোলেট বিস্কুট সাজানো রয়েছে। সঙ্গে একটি চিঠি। সেই চিঠিতে লেখা, ‘‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে মিস বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিমান সফর করছেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও আমরা খুশি এমন এক জন ভাল মনের মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে। অনেক ভালবাসা, সম্মান, ভাল থাকবেন আপনি।’’ চিঠির শেষে বিমানসেবিকাদের নাম।
এমন অভ্যর্থনা আর ভালবাসা পেয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন রচনা নিজেও। দুজন বিমানসেবিকার সঙ্গে ছবিও তুলেছেন রচনা। সেই ছবি নিজেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন রচনা। রেশমি এবং রিজা নামের দু’জন বিমানসেবিকাকে সেই পোস্টে ট্যাগও করেছেন রচনা। নায়িকা লিখেছেন, ‘‘গোটা ঘটনাটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ ‘ইন্ডিগো’।’’