Parno Mitra

বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে কথা বলার সময় নয় এটা: পার্নো

পার্নো মিত্রকে গোটা লকডাউন জুড়ে ইনস্টা, ফেসবুকে বিশেষ দেখা যায়নি। কী করছেন তিনি?

Advertisement

বিহঙ্গী বিশ্বাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ১৯:৫৫
Share:

পার্নো মিত্র। ফাইল ছবি।

ক্যাটরিনা কইফ বাসন মেজে ফেলেছেন, রোজ ঘর পরিষ্কার করছেন হিনা খান, টলিউডেও একই চিত্র— কাজ করে করে ক্লান্ত সেলেবরা। কেউ বা আবার পোস্ট করছেন মাখো মাখো মুহূর্তের ছবি।

অভিনেত্রী পার্নো মিত্রকে গোটা লকডাউন জুড়ে ইনস্টা, ফেসবুকে বিশেষ দেখা যায়নি। কী করছেন তিনি? কেমন আছেন?

আনন্দবাজার ডিজিটালকে অলস গলায় পার্নো বললেন, “সবাই কত কিছু করছে, আমি কিন্তু সে ভাবে কিছুই করছি না। দেরি করে ঘুম থেকে উঠছি। একটু ওয়ার্কআউট করছি। পোষ্যদের নিয়ে খেলা করছি। ব্যস।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: মমতার পাশে কংগ্রেস, ধনখড়কে কটাক্ষ করে ঝাঁঝালো টুইট অভিষেক সিঙ্ঘভির

এই যে ফেসবুক জুড়ে হঠাৎ করেই প্রোডাক্টিভিটির ছড়াছড়ি সে বিষয়ে পার্নোর বিশেষ মাথাব্যথা নেই। আর প্রেম, বয়ফ্রেন্ড? হো হো করে হাসতে হাসতে বললেন, “ধুস, আমার আবার বয়ফ্রেন্ড কোথায়? আর থাকলেও বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে কথা বলার সময় নয় এখন। মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, আর বয়ফ্রেন্ড!...”

Advertisement

লকডাউনে বাড়িতে আটকে, প্রিয় পোষ্যদের সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত পার্নো। নিজস্ব চিত্র।



না, খালি সেই সব না খেতে পাওয়া মানুষের জন্য চিন্তা করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। বন্ধুর সঙ্গে মিলে রূপান্তরকামী, যৌনকর্মীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। চারিদিকে যখন ‘দান শো অফের’ ছড়াছড়ি তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথা কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। “প্রচার চাই না। মনে হয়েছে দরকার পাশে দাঁড়ানোর তাই দাঁড়িয়েছি’’, সাফ জবাব অভিনেত্রীর।

আরও পড়ুন: ছেলের অকালমৃত্যু, স্ত্রীর আর্তিতেও প্রভু দেবা ফেরেননি নায়িকার কাছ থেকে, কিন্তু ভেঙে যায় প্রেমও


বেশ কিছু দিন হল তিনি পা রেখেছেন রাজনীতির আঙিনায়। ত্রাণের কথা আসতেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ফান্ডিং কার? পার্নো জানান, একান্তই ব্যক্তিগত। কোনও রাজনৈতিক দলের সাহায্য নেননি তিনি। এমনিতে বাড়ির কাজে সে ভাবে হাত লাগাতে হয়নি তাঁকে। রান্নার দায়িত্ব বোন নিয়েছেন।

অনেকেই যখন দীর্ঘ লকডাউনে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত তখন খুব একটা অসুবিধে হচ্ছে না পার্নোর। পুরনো বই পড়ছেন, সিনেমা দেখছেন, তবে সেটা যে লকডাউন উপলক্ষেই নতুন করে করা শুরু করেছেন, এমনটা নয়। বলছিলেন, “সে তো শুটিংয়ের সময় ব্রেক পেলেই দেখি। নতুন তো নয়।’’ কথাবার্তা প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। হাল্কা হেসে বললেন, “হালে মেগা করছি তিন মাস। এর আগে বছরে দু’-তিনটে ছবি করেছি হয়ত। আর বাংলা সিনেমার শুটিং তাড়াতাড়ি শেষ হয়, বাকি সময়টা বাড়িতেই। লকডাউন তাই আমার কাছে নতুন কিছু নয়। বাড়িতে থাকার আমার অভ্যেস রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement