অগ্নিমিত্রা এবং মিঠুন।
যাবতীয় জল্পনা নস্যাৎ। সম্পূর্ণ সুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী। শুক্রবার দুপুরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে আসানসোল (দক্ষিণ)-এর বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে নেটমাধ্যমে সরাসরি মুখ খুললেন মহাগুরু। কী বললেন বিজেপি সদস্য? শুরু থেকেই তিনি স্বমহিমায়, ‘‘নমস্কার, আমি মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনদা...।’’ তার পরেই জানালেন, অগ্নিমিত্রার সমর্থনে তাঁর সভা করার কথা ছিল। কিন্তু অতিমারির দাপটে নিয়মনীতি বাড়ায় বাধ্য হয়ে তিনি পিছিয়ে এসেছেন। মিঠুনের কথায়, ‘‘আমি অগ্নির সভায় আসতে পারিনি। কিন্তু কথা দিচ্ছি, খুব শিগগিরি আসব।’’
৮ দফার নির্বাচন শেষ বৃহস্পতিবার। হঠাৎ কেন অগ্নিমিত্রার হয়ে বক্তব্য রাখলেন তিনি? এই ধরনের মন্তব্যও বা কেন করলেন মিঠুন? তাঁর প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত, নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে অগ্নিমিত্রার। জিতলে সেই আনন্দ উদযাপনে তিনিও সামিল হবেন। আসবেন অগ্নিমিত্রার নির্বাচনী কেন্দ্রে। সবার সঙ্গে দেখাও করবেন। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী অগ্নিমিত্রার মতোই শিক্ষিত, ভদ্র বিধায়ক চান। যিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বুঝবেন। সবার দিকে সমান নজর রাখবেন। ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সাহায্য করবেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেন নিজের ব্যক্তিগত জীবন। জানান, ‘‘মাঝে বেশ কিছুটা সময় আমার খুবই খারাপ গিয়েছে। সেই সময় অগ্নি নিয়মিত আমার খবর নিত। ও আমার খারাপ সময়ের বোন। আমার স্ত্রী যোগিতাকে রোজ ফোন করত।" তার পরেই তাঁর যুক্তি, যিনি মুম্বইয়ের দাদার নিয়মিত খবর নিতে পারেন তিনি নিজের নির্বাচিত এলাকার মানুষদের দেখভাল আরও বেশি করে করবেন। অগ্নিমিত্রা তাঁর দায়িত্ব সম্বন্ধে যথেষ্ট সজাগ। অগ্নিমিত্রার জয় আসানসোল (দক্ষিণ)-এর গর্ব।
বাংলায় বিজেপি এলে কী কী করবে বিরোধী শিবির? অগ্নিমিত্রা জিতলে তাঁর থেকে কী পাবে আসানসোল? সেই তালিকাও তুলে ধরেন তিনি। ‘মহাগুরু’র সাফ জবাব, তাঁর সঙ্গে মোদীর যোগাযোগ আছে। তাঁর থেকে আশ্বাস পেয়েই তিনি এত সভা, সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। তিনি জানেন, বাংলায় এ বার পদ্মফুল ফুটবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বদলে যাবে বাংলা। সমস্ত জেলা হাসপাতালের সব বিভাগ, বেড শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবে। কমানো হবে বিদ্যুতের বিল। মহিলারা বিনামূল্যে সরকারি বাসে যাতায়াত করতে পারবেন। বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার যাবতীয় খরচ বহন করবে বিজেপি সরকার।
একই ভাবে রাজ্যের মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হলেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারি তরফ থেকে পৌঁছে যাবে ২ লক্ষ টাকা। ভাগচাষীরা পাবেন ৪ হাজার টাকা করে। অগ্নিমিত্রার অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাও প্রার্থী মেটাবেন, এমনও আশ্বাস শোনা গিয়েছে মহাগুরুর কথায়।