ওয়াহিদা রহমান। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে তাঁর রাজপাট কয়েক দশকের। সত্যজিৎ রায়ের ‘অভিযান’ ছবির নায়িকা। চুটিয়ে কাজ করেছেন দেব আনন্দ, গুরু দত্তের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে। এ বার তাঁর অন্যতম সহ-অভিনেতা দেব আনন্দের শতবর্ষেই সম্মানিত হচ্ছেন ওয়াহিদা। ২০২৩ সালে দাদাসাহেব ফালকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পাবেন কিংবদন্তী এই অভিনেত্রী। ঘোষণা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের। চলতি বছরের শেষেই এই পুরস্কার পাবেন অভিনেত্রী।
এই সম্মান পেয়ে ওয়াহিদা রহমান বলেন, ‘‘এটা একটা বিরাট সম্মান। ভারত সরকার আমাকে বেছে নেওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। আমি আরও বেশি আনন্দিত এই কারণে, আমার প্রিয় সহ-অভিনেতা দেব আনন্দের জন্মদিনে এই সম্মান পেলাম। এর থেকে আর শুভ দিন হতে পারত না। এই সম্মানের জন্য আমি চলচ্চিত্র জগতের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। যাঁরা আমাকে সারা জীবন ধরে ভালবাসা সম্মান দিয়েছেন। কৃতজ্ঞ আমার পরিবার-পরিজনদের কাছে, আজ আমি ভীষণ খুশি।’’
তামিলনাড়ুর এক দক্ষিণী মুসলিম পরিবারে জন্ম। চার বোনের সবার ছোট ওয়াহিদা ভরতনাট্যম শিখতেন। আর স্বপ্ন দেখতেন ডাক্তার হওয়ার। তবে বিধি বাম। পরিবারের আর্থিক সমস্যার কারণে রোজগারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে সদ্য তরুণী ওয়াহিদার। ভরতনাট্যমে পারদর্শিতার সূত্রে মঞ্চে এবং তেলুগু ছবিতে নাচের সুযোগ মেলে। সেখান থেকে মুম্বইয়ে যোগাযোগ। বলা হয় গুরু দত্তই নাকি খুঁজে বার করেন ওয়াহিদাকে। গুরু দত্তই ছিলেন তাঁর গুরু। পঞ্চাশের দশকে ‘পিয়াসা’, ‘সাহেব বিবি অউর গুলাম’, ‘কাগজ কে ফুল’-এর মতো কালজয়ী ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। দেব আনন্দের সঙ্গে ‘গাইড’, ‘সোলাহ্ সাওয়ান’, দিলীপ কুমারের সঙ্গে ‘রাম অউর শ্যাম’, রাজ কপূরের সঙ্গে ‘তিসরি কসম’। রাজেন্দ্র কুমার, রাজেশ খন্নাদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গেও পাল্লা দিয়ে কাজ করেছেন ওয়াহিদা।