মৃত্যু-পরবর্তী অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজয়। ফাইল চিত্র।
‘লাইগার’ ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ। কিন্তু ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর সৌজন্যে বিজয় দেবেরাকোণ্ডা এখন দক্ষিণী ছবির বৃত্তের বাইরেও পরিচিত নাম। ‘অর্জুন রেড্ডি’র সাফল্য ও ‘পুষ্পা’-খ্যাত রশ্মিকা মন্দানার সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন এই সব নিয়েই শিরোনামে তিনি। এ বার সম্পূর্ণ অন্য এক কারণে সংবাদে অভিনেতা।অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোণ্ডা সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, তিনি মৃত্যু-পরবর্তী অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিজয় একা নন, তাঁর মা মাধবী দেবেরাকোণ্ডাও ছেলের মতই অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি নিজেদের নাম সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা।
বিজয় বলেন, ‘‘আমি আমার দেহের সব ক’টি অঙ্গই দান করতে চাই। আমার অবর্তমানে আমি যে অন্যের মধ্যে বেঁচে আছি, তা এখন থেকেই ভাবতে ভাল লাগছে। আমি চাই না, মৃত্যুর পর আমার দেহের একটা অঙ্গও নষ্ট হোক। আমি অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন এবং কোনও অনিয়ম করি না। এক কথায় আমি একেবারেই সুস্থ-সবল রয়েছি। সেই জন্যই এই অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত। আমার মনে হয়, এই কাজে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত।’’
বিজয়ের প্রথম হিন্দি ছবি ‘লাইগার’ বক্স অফিসে একেবারে ধরাশায়ী। যদিও বলিউডে তৈরি, দক্ষিণী তারকার উপস্থিতি— সব মিলিয়ে সর্বভারতীয় ছবিটি থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল মানুষের। কিন্তু হতাশ করেছে বিজয়-অনন্যা জুটি। এই মুহূর্তে অভিনেতা বলিউডে তাঁর দ্বিতীয় ছবির মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।