সায়রা বানু-দিলীপ কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
অবসর গ্রহণের পরেও বর্ষীয়ান তারকাদের নিয়ে অনুরাগীদের কৌতূহল লক্ষ করা যায়। বর্তমান সমাজে তারকাদের সঙ্গে অনুরাগীদের দূরত্ব কমাতে সমাজমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু অনেক সময়েই সমাজমাধ্যমে না থাকার কারণে লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে যান প্রিয় তারকারা। এখন অবশ্য সেই ধারার কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। যেমন গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইনস্টাগ্রামে পা রেখেছিলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জ়িনাত আমন। এ বার ইনস্টাগ্রামে এলেন প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ কুমারের স্ত্রী অভিনেত্রী সায়রা বানু। আর ইনস্টাগ্রামে পা রাখার জন্য অভিনেত্রী ৭ জুলাই দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন। কারণ শুক্রবার তাঁর প্রিয় ‘দিলীপ সাহাব’-এর মৃত্যুবার্ষিকী।
শুক্রবার দিলীপ কুমারের সঙ্গে তোলা পারিবারিক অ্যালবামের থেকে দু’টি ছবি পোস্ট করে সায়রা তাঁর ইনস্টাগ্রাম যাত্রা শুরু করেছেন। ‘পড়োসন’ ছবির অভিনেত্রী সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘এই দিনে লেখাটা লিখছি আমার সেই সব অনুরাগীর জন্য, দিলীপ কুমার ছাড়াও যাঁদের ভালবাসা আজও আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।’’ একই সঙ্গে ওই পোস্টে তাঁর জীবনের ‘কোহিনুর’ দিলীপ কুমারকে নিয়েও মনের ভাবনা ব্যক্ত করেছেন সায়রা। তিনি লেখেন, ‘‘আজও আমি বিশ্বাস করি যে উনি আমার সঙ্গেই রয়েছেন। যা-ই হোক না কেন, চিরকাল আমরা একসঙ্গে হাত রেখে বাকি পথটা অতিক্রম করব।’’
তবে বাকি তারকাদের মতো নিজেকে তুলে ধরতে ইনস্টাগ্রামকে ব্যবহার করতে চান না সায়রা। মূলত দিলীপ কুমারের জীবনকেই এই মাধ্যমে অনুরাগীদের সামনে হাজির করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সায়রা লিখেছেন, ‘‘এখানে আমি ওঁর জীবন দর্শন, চিন্তাভাবনাকে তুলে ধরব। সেখানে শুধু সিনেমা জগৎ নয়, পাশাপাশি সমাজের সার্বিক উন্নতিতে ওঁর অবদানের উপরেও আলোকপাত করব।’’
দিলীপ কুমার এবং সায়রা বানুর দাম্পত্য বলিউডের ইতিহাসে বরাবরই চর্চায় থেকেছে। ১৯৬৬ সালে বয়সে বাইশ বছরের ছোট সায়রাকে বিয়ে করেন দিলীপ। সেই সময় এই বিয়ে নিয়ে বলিপাড়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ‘সাহিগা মাহাতো’, ‘গোপী’ এবং ‘দুনিয়া’ ছাড়াও বেশ কিছু ছবিতে এই জুটি অভিনয় করেন। তবে দিলীপ কুমারের বার্ধক্যে তাঁর পাশে বজ্রকঠিন সায়রার উপস্থিতি ‘ভঙ্গুর’ মায়ানগরীতে দৃষ্টান্ত হিসাবেই রয়ে গিয়েছে। দীর্ঘকালীন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার জন্য ২০২২ সালে ৭ জুলাই প্রয়াত হন দিলীপ কুমার।