(বাঁ দিক থেকে) ধর্মেন্দ্র, এষা দেওল এবং হেমা মালিনী। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। সালটা ছিল ১৯৮০। ঠিক এক বছরের মাথায় বড় মেয়ে এষা দেওলের জন্ম। হেমা মালিনী আর ধর্মেন্দ্রের সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি সেই সময়। তার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হন অভিনেত্রী। এ দিকে হেমা-ধর্মেন্দ্রের সম্পর্ক নিয়ে সেই সময় চূড়ান্ত গোপনীয়তা। হেমা যে অন্তঃসত্ত্বা সেই কথা পাঁচকান করতে চাননি দম্পতি। সেই কারণে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান এষার জন্মের সময় এমন এক কাণ্ড করেন ধর্মেন্দ্র, যে পরে তা নিয়ে নানা কথা শুনতে হয়েছিল তারকা-দম্পতিকে।
একটা সময় ছিল যখন তারকারা তাঁদের ভাবমূর্তিতে নিয়ে ভীষণ রকম সচেতন ছিলেন। বিয়ে-সন্তান কোনও কিছু প্রকাশ্যে আনতে চাইতেন না। যদিও বর্তমান সময়ে সেই রীতিতে বদল এসেছে বলিউডে। তবে আশির দশক কিংবা নব্বইয়ের দশকের ভীষণ ভাবেই গোপনীয়তা বজায় রেখে চলতেন তারকারা। ১৯৮১ সালের ২ নভেম্বর জন্ম হয় ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর কন্যা এষা দেওলের। যে হেতু সেই সময় নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি, তাই এষার জন্মের সময় ১০০টি ঘরের একটা গোটা হাসপাতাল অগ্রিম বুক করে রাখেন ধর্মেন্দ্র। এই খবর জানাজানি হয় বহু বছর বাদে। ‘জিনা ইসি কা নাম হ্যায়’ শো-তে আসেন হেমা। সেই সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নীতু কোহলি বলেন, ‘‘যখন এষার জন্ম হতে চলেছে, তখন কেউ জানত না যে হেমা অন্তঃসত্ত্বা। তাই ধরমজি এষার জন্য পুরো হাসপাতাল বুক করে রেখেছিলেন। প্রায় ১০০টি ঘরের হাসপাতাল। গোটাটাই ছিল হেমার জন্য।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘কেউ জানত না যে ধরমজি এই কাজটি করেছিলেন।’’ বান্ধবী এই গোপন কথা ফাঁস করতে সলজ্জে হাসেন হেমা। যদিও নেটপাড়ার একাংশ এই ঘটনার সমালোচনাই করেছেন। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে হাসপাতাল নির্মাণ। সেখানে কোনও রকম সঙ্কটে শুধুমাত্র তারকাদের খেয়ালখুশির জন্য হাসপাতালে বেড না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। তাই ধর্মেন্দ্র আদতে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছিলেন বলেই মনে করেন অনেকে।