Ushasie Chakraborty

আশা রাখছি, মুখ্যমন্ত্রীও হয়তো আমাদের মতোই বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন: উষসী

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দশ দফা দাবি নিয়ে সরাসরি বৈঠক জুনিয়র চিকিৎসকদের। এ বিষয়ে আশাবাদী উষসী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২৩
Share:

(বাঁ দিকে) উষসী চক্রবর্তী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই সরব তিনি। এ বার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনমঞ্চে গিয়ে গান গাইলেন উষসী চক্রবর্তী। ‘মুক্ত করো ভয়, দুরূহ কাজে নিজেরি দিয়ো কঠিন পরিচয়’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এই পঙ্‌ক্তি যেন সেখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে। মনে করছেন অভিনেত্রী। তাই অনশনমঞ্চে উপস্থিত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে গলা মেলালেন তিনি।

Advertisement

শনিবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী অনশন করেছেন দেবলীনা দত্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষালেরা। শুটিং থাকায় যোগ দিতে পারেননি উষসী। তাই সহকর্মী ও আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার জন্য রবিবার অনশন মঞ্চে ছুটে যান তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “এখন মরণ-বাঁচন পরিস্থিতি। কত দিন ধরে অনশন করছে বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো। এই সময় রবীন্দ্রনাথের গানই তো মনের জোর বাড়াতে পারে। এই গান তো আমাকেও শক্তি জোগায়।”

গত কয়েক দশকে পশ্চিমবঙ্গে এমন আন্দোলন হয়নি। নিজের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় থাকলেও এই আন্দোলন রাজনীতির ঊর্ধ্বে বলে মনে করেন উষসী। তিনি বলেছেন, “আমার জীবনে দেখা অন্যতম জোরালো আন্দোলন করছেন চিকিৎসকেরা। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। এর মধ্যে ভোটের লড়াই নেই। এটি দাবিভিত্তিক ও অধিকারভিত্তিক একটি আন্দোলন। অনেকেই বলছেন, খাদ্য আন্দোলনের পরে পশ্চিমবঙ্গে এমন আন্দোলন হয়নি। এর অংশ হতে পেরে নিজেরও গর্ব হচ্ছে। এই মুহূর্তটাকে ধরে রাখতেই রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করেছি অনশনমঞ্চে।”

Advertisement

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দশ দফা দাবি নিয়ে সরাসরি বৈঠক জুনিয়র চিকিৎসকদের। এই নিয়ে আশাবাদী উষসী। অভিনেত্রী বলেন, “বিপুল ভোটে জিতে আসা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আশা রয়েছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীও হিসাবেও তাঁর কাছে আশা রাখছি। তিনি তো বলেছেন, দিদি হিসাবে বিষয়টি দেখছেন। এই বাচ্চা ছেলেমেয়গুলো আমাদের ভবিষ্যতের সম্পদ। তাই তাঁরা রাস্তায় বসে অনশন করবেন, এটা কাম্য নয়। আশা করছি আমরা যে বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন। আমার আবেদন ও আশা, কাল একটা নিষ্পত্তি হবে। এই দমবন্ধ পরিবেশ আর চাই না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement