Usashi Chakraborty

ধর্মতলায় অনশনে ডাক্তারেরা, সপ্তমীতে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারলেন না উষসী

ভেবেছিলেন সরকারের থেকে জুনিয়ার ডাক্তাদের বৈঠকে রফাসূত্র মিললে উষসী রওনা দেবেন বিদেশে। কিন্তু যেতে পারলেন না ক্ষতি হল প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪২
Share:

উষসী চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

ধর্মতলায় অনশনে জুনিয়র ডাক্তারা। বুধবারও ফলপ্রসূ হল না রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। যার অর্থ, আপাতত ধর্মতলায় আমরণ অনশন চলবে। বুধবার সন্ধ্যায় ইমেল করে বৈঠকের ডাক পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই মতো বুধ-রাতেই স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে বৈঠক করে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক শেষে বেরিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বৈঠক ‘নিষ্ফল’ হয়েছে বলে দাবি করে তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সরকারের কাছ থেকে কোনও সদর্থক উত্তর পাননি। তার প্রভাব পড়ল অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত জীবনে। ভেবেছিলেন পুজোয় মালয়েশিয়া ঘুরতে যাবেন। সপ্তমীর দিনই রওনা দেওয়ার কথা ছিল। আরজি কর-কাণ্ডে প্রথম থেকে পথে নামেন উষসী। ভেবেছিলেন সরকারের থেকে জুনিয়র ডাক্তাদের বৈঠকে রফাসূত্র মিললে রওনা দেবেন বিদেশে। কিন্তু যেতে পারলেন না। ক্ষতি হল প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।

Advertisement

আরজি কর কাণ্ডের বহু আগেই টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু মন অশান্ত, প্রতি দিন ছুটে যাচ্ছেন ধর্নামঞ্চে। ধর্মতলায় ছেলেমেয়েগুলো অভুক্ত সে কথা ভেবেই যেন আর ছুটির মেজাজে ফিরতে পারছেন না তিনি। যদিও শহরবাসী উৎসবে শামিল হয়েছেন। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় তার প্রমাণ। তবে উৎসব ও বিপ্লব যে দুটো বিপরীতার্থক শব্দ মানতে নারাজ অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা উৎসব করতে পারছেন, করছেন। মানুষ উৎসব করতে করতেও অনশনমঞ্চে আসছেন। কেউ মণ্ডপ ঘুরে অনশনমঞ্চে আসছেন। এই যে উৎসব ও আন্দোলনকে বিপরীতার্থক শব্দ করে দেওয়া, শাসকের ফন্দি এটা। তাঁরা চায় উৎসবে শামিল যাঁরা ও আন্দোলনকারীদের ভাগ করে দিতে। এটা করতে পারলে দু’তরফই যাতে ক্ষেপে যায়। আমরা কিন্তু উৎসবে ফেরার বিরোধী নয়। যাঁদের ইচ্ছে হবে উৎসবে থাকবেন। যাঁদের ইচ্ছে হবে প্রতিবাদে থাকবেন। কিছু মানুষ থাকবেন যাঁরা দুটোতেই থাকবেন। উৎসবে যাঁরা শামিল হয়েছে তাঁরা তো আমাদের শত্রু নন।’’

যদিও উৎসবে যাঁরা শামিল হয়েছেন তাঁদের উদ্দেশে একটা বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী, তিনি বলেন, ‘‘এই আরজি কর-কাণ্ড ও মেয়েটার বিচারের কথাটা যেন মানুষ মনে রাখেন। আমার মনে হয় সেটা মানুষ মনে রাখছেন। যাঁরা উৎসবে মেতে আছেন তাঁরা সবটা ভুলে গিয়েছেন এই ভাবনাটা ভুল।’’ যদিও অভিনেত্রী জানান, তাঁর বন্ধুরা সকলে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর মন অশান্ত। বুধবারের বৈঠকেও যদিও কিছু সদর্থক কিছু শুনতেন, বেরিয়ে যেতেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে একফোঁটা আনন্দ করার অবস্থায় নেই তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement