আমেরিকার এক সাংবাদিক তথা সমালোচক স্কট মেন্ডেলসন তাঁর প্রতিবেদনে শাহরুখ খানকে ভারতের টম ক্রুজ় বলেছেন। —ফাইল চিত্র
‘পাঠান’-এর সাফল্য শুধু বলিউডের নয়, আন্তর্জাতিক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তার কারণ, একটি হিন্দি অ্যাকশন ছবি যে এ ভাবে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন সিনেমার বক্স অফিস নজির ভেঙে দিতে পারে তা আগে আঁচ করা যায়নি। যখন গেল, বিদেশি চলচ্চিত্র সমালোচকরাও ‘পাঠান’ নিয়ে কৌতূহলী হলেন। কিন্তু গোল বাধল হলিউডের নিক্তিতে ‘বাদশা’র তুলনায়।
আমেরিকার এক সাংবাদিক তথা সমালোচক স্কট মেন্ডেলসন তাঁর প্রতিবেদনে শাহরুখ খানকে ভারতের টম ক্রুজ় বলেছেন। এতে বিপুল খেপে উঠেছেন শাহরুখ-ভক্তরা। প্রতিবেদনের ওই অংশ সংশোধন করতেও বলেন তাঁরা স্কটকে।
সাংবাদিক লিখেছিলেন, ‘‘ভারতের টম ক্রুজ় টম শাহরুখ খান ব্লকবাস্টার ‘পাঠান’ দিয়ে বলিউডকে বাঁচিয়ে দিলেন।’’ এই ধরনের শিরোনামের সেই প্রতিবেদন শেয়ার করতেই উষ্মা প্রকাশ করেন শাহরুখ-ভক্তরা। তাঁদের দাবি, এ ভাবে তুলনা করে শাহরুখকে ছোট করার চেষ্টা ঠিক নয়। এক জন মন্তব্য করেছেন, ‘‘শাহরুখ শাহরুখই। তিনি ভারতের টম ক্রুজ নন। বরং জাতীয় গর্ব। সিনেমার বাইরেও তিনি এক জন মানুষ।’’
আর এক জন লিখলেন, ‘‘শাহরুখ সেরাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বশ্রেষ্ঠদের মধ্যে সেরা। চিরকালীন!! যদিও আমি টমকে পছন্দ করি, আমি কিছু মনে করব না আপনি যদি তাঁকে আমেরিকান শাহরুখ খান বলে সম্বোধন করেন।’’
আরও অনেকেই দুই নায়কের মধ্যে তুলনা টানার বিরোধিতা করলেন। ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ অভিনেতা টমকে নিয়ে কারও সমস্যা নেই, তবে শিরোনামে শাহরুখের নামের আগে এ হেন তকমা অসম্মান হিসাবেই নিলেন ভারতীয়রা। এক ভক্ত সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বলেই বসলেন, ‘‘হলফ করে বলতে পারি জীবনে বলিউড সিনেমা দেখেননি তাই এ কথা লিখছেন। যদি দেখতেন জানতেন, শাহরুখ খান টম ক্রুজ়ের চেয়ে অনেক অনেক বেশি কিছু। হলিউডের সঙ্গে তুলনাই চলে না।’’
‘পাঠান’ ঘিরে উন্মাদনাও যখন নজিরবিহীন, শাহরুখ খানের অবমাননা মেনে নেওয়া মুশকিল। সাদা চামড়া মানেই প্রভুত্ব? আমেরিকার সাংবাদিককে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন এক দল।