শ্রুতি দাস।
ভরা আশ্বিনে প্রেম টলিউডে। ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের নয়ন, অর্থাৎ শ্রুতি দাস রিয়েল লাইফে প্রেমে পড়েছেন। সেই প্রেম নাকি এতটাই মাখোমাখো যে ইন্ডাস্ট্রির কারও জানতে বাকি নেই। কার সঙ্গে?
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, শ্রুতির ‘লাভ অব লাইফ’ টলিউডেরই এক নামজাদা পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। দিন কয়েক আগেই জি বাংলায় যাঁর পরিচালিত ‘মহালয়া’ দেখা গিয়েছে। শ্রুতি অভিনীত ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকেরও পরিচালকও ছিলেন তিনি।
ফেসবুকে শ্রুতির রিলেশনশিপ স্টেটাসে জ্বলজ্বল করছে ‘ইন আ রিলেশনশিপ’। অন্যদিকে স্বর্ণেন্দু আবার একধাপ এগিয়ে। তিনি লিখে রেখেছেন ‘এনগেজড’। তার মানে কি চুপি চুপি বাগদানটাও সেরে ফেলেছেন তাঁরা?শ্রুতিকে প্রশ্ন করতেই সলজ্জ হাসি তাঁর। হ্যাঁ বা না কিছু না বললেও শ্রুতির ফেসবুক বলছে, জল অনেক দূর গড়িয়েছে।
দিন কয়েক আগেই জন্মদিন ছিল স্বর্ণেন্দুর। সেখানেই পরিচালকের সঙ্গে ছবির কোলাজ শেয়ার করে শ্রুতি লিখেছিলেন, ‘হ্যাপি বার্থডে লাভ’। এখানেই শেষ নয়। স্বর্ণেন্দু কমেন্ট বক্সে শ্রুতিকে ধন্যবাদ জানালে কোনও রাখঢাক না করে শ্রুতি সোশ্যাল মিডিয়াতেই তাঁকে লেখেন, ‘আই লাভ ইউ’। অতএব, জল্পনায়শিলমোহর।‘নয়ন’ এখন কমিটেড।
জন্মদিনে শুধু ‘আই লাভ ইউ’-তেই খান্ত হননি শ্রুতি। স্বর্ণেন্দুর জন্য ছিল বিশেষ সারপ্রাইজও। পরিচালক ‘প্রেমিক’-এর জন্য অর্ডার করেছিলেন এক অন্য রকমের কেক। তাতে রয়েছে ডিরেক্টরের চেয়ার, ক্যামেরা, আরও কত কী... স্বর্ণেন্দুকে নাকি আদর করে শ্রুতি ডাকেন ‘বাবি’ বলে।
এই সেই কেক
তবে সূত্র বলছে, হঠাৎ করে প্রেমে পড়েননি ওঁরা। গত বছর থেকেই নাকি চলছে এই প্রেমপর্ব। নয় নয় করে বছর ঘুরতে যায়। ‘ত্রিনয়নী’-রসেট থেকেই পরিচয়, সেখান থেকেই বন্ধুত্ব এবং প্রেম। গত বছর পুজোতেও দু’জনে একসঙ্গে চুটিয়ে ঘুরেছেন। স্বর্ণেন্দুর ফেসবুক ঘাঁটলেই সে ছবি নজরে আসবে।
শ্রুতি বর্ধমানের কাটোয়ার মেয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়েটির ইচ্ছে ছিল অভিনয়ের। মডেলিং, ছোটখাটো চরিত্রে কাজ এবং সেখান থেকেই ‘ত্রিনয়নী’র ব্রেক। সদ্য শেষ হলেও একটা সময় টিআরপি চার্টে প্রায়শই প্রথম হয়েছে ওই ধারাবাহিক। ভাল গান করেন শ্রুতি, নাচ শিখেছেন ছোট থেকেই।
টলিউডে পরিচালক-অভিনেত্রীর প্রেমের খবর নতুন নয়। ধরুন রাজ-শুভশ্রী অথবা মানালি-অভিমন্যু। সেই তালিকায় এ বার যোগ হল আরও একটি নাম। শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু। শ্রুতি কী বলেন, এখন তারই অপেক্ষা।