অভিষেকের প্রয়াণে স্তম্ভিত তৃণা।
চার দশকের সুদীর্ঘ কেরিয়ার। তবে বড় পর্দা থেকে দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর নতুন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে গুনগুনের ‘ড্যাডি’ হিসেবে। সেই অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ‘গুনগুন’ অর্থাৎ অভিনেত্রী তৃণা সাহা। পর্দায় প্রয়াত অভিনেতার মেয়ের ভূমিকায় তৃণা অভিনয় করেছেন দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেই রসায়নে বিশেষ ফারাক ছিল না পর্দার বাইরেও।
কান্না জড়ানো গলায় তৃণা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘পর্দায় অভিষেকদা যেমন আমার ড্যাডি ছিল, পর্দার বাইরেও ড্যাডির মতোই ছিল। পরশু দিনও শ্যুটে আমি খুব বকাবকি করেছি। শরীরের একদম যত্ন নিচ্ছিল না।’’
অভিনেত্রী জানান, বেশ কিছু দিন পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিষেক। ছিল লিভারের সমস্যাও। অসুস্থতা নিয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘পরশু দিনও সেটে অভিষেকদা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আমরা ওকে বিশ্রাম করতে বলি। দুলালদা (লাহিড়ি) ওকে ডেকে আনতে গিয়েছিল। অভিষেকদা তখন দুলালদার গায়েই বমি করে দেয়। আমরা ডাক্তার দেখাই। তার পর বাড়ি পাঠিয়ে দিই। এই অবস্থায় কালকেও শ্যুট করল। ফোনে আমি বকাবকি করেছিলাম মানুষটাকে।’’
বুধবার একটি রিয়্যালিটি শো-র শ্যুট করতে করতে মারা যান অভিষেক। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। অভিনেতার আকস্মিক চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ তাঁর সহকর্মীরা।