ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’র একটি দৃশ্য ফের কাছাকাছি এনে দিয়েছে উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়-গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে। ১৯৭১-এ অগ্রদূতের ‘ছদ্মবেশী’ ছবিতে উত্তমকুমার সাদা পোশাকে গাড়ির চালকের ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন। গৌরবকে হুবহু একই পোশাকে দেখা যাবে ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’য়।
দাদু উত্তমের পথে নাতি গৌরব?
না চাইতেই ফের তুলনা দাদু-নাতির। না চাইতেই বাঙালি হিয়া আবারও নস্টাল!
ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’র একটি দৃশ্য ফের কাছাকাছি এনে দিয়েছে উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়-গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে। ১৯৭১-এ অগ্রদূতের ‘ছদ্মবেশী’ ছবিতে উত্তমকুমার সাদা পোশাকে গাড়ির চালকের ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন। গৌরবকে হুবহু একই পোশাকে দেখা যাবে ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’য়। সেই ছবি এবং ঝলক ছড়াতেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। দাদু-নাতির ছবির কোলাজ বানিয়ে নেট ব্যবহারকারীদের মন্তব্য, ‘দাদুর প্রতি নাতির অনুচ্চারিত শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
গৌরবের কেন এ হেন সাজ? প্রচার ঝলক বলছে, রাহুলের কুকীর্তির প্রমাণ জোগাড় করতে নির্দিষ্ট রিসর্টে উপস্থিত বড় ছেলে ঋদ্ধিমান, খড়ি এবং সাংবাদিক শ্রুতি। ভট্টাচার্য বাড়ির বড় মেয়ের দ্যুতির সর্বনাশের কারণ সিংহরায় বাড়ির মেজ ছেলে। দাদা ঋদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে দ্যুতিকে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে সে। মিথ্যে ভালবাসায় ভুলিয়েছে। কিন্তু বিয়েতে অরাজি। এ দিকে, বেশ কয়েকটি দিন সহবাসের ফলে দ্যুতি অন্তঃসত্ত্বা। ভাইয়ের প্রতি অন্ধ স্নেহে ঋদ্ধিমান সব দেখেও যেন বুঝতে চাইছে না। তাই রাহুলের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতেই তাদের ছদ্মবেশ।
ঝলক দেখে দর্শক ফের স্মরণ করেছেন মহানায়ককে। তুলনাও এসেছে। গৌরবেরও কি মনে পড়েছে দাদুর কথা? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অভিনেতার সঙ্গে। নির্লিপ্ত গলায় গৌরব বলেছেন, ‘‘আমার এই বিশেষ সাজ পুরোপুরি অভিনয়ের স্বার্থে। এবং অভিনয়ের সময় বাকি সব কিছু ভুলে যাই। সে ভাবেই দাদুর কথাও মনে পড়েনি।’’
একই কথা বলেছেন ধারাবাহিকের প্রযোজক স্নিগ্ধা বসুও। তাঁর দাবি, ‘‘পুরোটাই কাকতালীয় ভাবে ঘটে গিয়েছে। এক বারও আমাদের কারও উত্তমকুমারের ‘ছদ্মবেশী’ ছবির সাজের কথা মনে আসেনি। তবে দর্শক গৌরবকে এই সাজে দেখে খুশি জেনে ভাল লাগছে।’’ অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের অন্যতম কর্ণধারের মতে, প্রযোজনা সংস্থা ভাগ্যবান গৌরবকে পেয়ে। মহানায়কের সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য কোনও দিন হবে না। তাঁর নাতি সংস্থার ধারাবাহিকের নায়ক। এতেই খুশি তাঁরা।