বাঁ দিকে রোহিত সেনের লুকে টোটা এবং ডান দিকে শ্রীময়ীর লুকে ইন্দ্রাণী।
শ্রীময়ীর জীবনে বসন্তের আগমন। আর সেই বসন্তের নাম রোহিত সেন—সুদর্শন, পেশায় অধ্যাপক, বেশ কয়েক বছর ধরে লন্ডনেই রয়েছেন তিনি।
আর এই রোহিতের চরিত্রেই ছোট পর্দায় কামব্যাক করছেন অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী।
এত দিন পর আবার ছোট পর্দা। উপরি পাওনা ‘শ্রীময়ী’-র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক। সঙ্গে আবার ইন্দ্রাণী হালদারের প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয়! আনন্দবাজার ডিজিটালকে টোটা বললেন, “ইন্দ্রাণীর সঙ্গে কাজ করাটা বরাবরই খুব আনন্দের। এর আগে একসঙ্গে অংশুমানের ছবিতে কাজ করেছি আমরা। আবারও এত দিন পর একসঙ্গে। ভাল অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করলে নিজের সুবিধে হয়। নিজেকে মেলে ধরা যায়।”
আরও পড়ুন-‘কেন এই নির্মম দাঙ্গা তাকে মৃত্যুর জন্য বাছল?’ লিখলেন গুলজার
ছোট পর্দায় কাজ না করলেও বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবুও কোথাও গিয়ে দর্শক হারাচ্ছিলেন তিনি। রাস্তা ঘাটে দেখা হলে অনুরাগীদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হচ্ছিল তাঁকে। “কী দাদা, আজকাল তো আপনাকে আর দেখা যায় না!” — ইন্ডাস্ট্রিতে এত গুলো বছর কাটানো টোটা বুঝেছিলেন লোকের ড্রয়িংরুমে পৌঁছতে হলে সিরিয়াল ছাড়া গতি নেই। তাই ফের ছোট পর্দা, জানালেন অভিনেতা।
দেখুন প্রোমো
অবশ্য অন্য এক কারণও রয়েছে। ধারাবাহিকটির লেখক-প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কাজ করার কথা চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। আগে দু’বার কথা বার্তাও এগিয়েছিল খানিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করা হয়ে ওঠেনি আর।
টোটার কথায়, “লীনাদির সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে বহুদিনের। অবশেষে সেটা হচ্ছে। ভাল লাগছে।”
আরও পড়ুন-সাতপাকে বাঁধা পড়লেন জয়ী-পায়েল?
রোহিত সেনের চরিত্রটি প্রকাশ্যে আসতেই কিন্তু নেটাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। রহস্যটা কী? লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলছিলেন, “শ্রীময়ীর ছোট্ট পৃথিবীতে ওঁকে সম্মান করার লোকের সংখ্যা খুব কম। রোহিত সেন এমন একজন যে শ্রীময়ীকে সম্মান করে। রোহিত বাংলা ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি— ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। ‘বাংলার মুখ’ নামে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর আউটলেটও রয়েছে। আর রোহিতের কাছে শ্রীময়ীই হল ‘বাংলার মুখ’।”
শ্রীময়ীর কাছে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী-ই বা হতে পারে? মার্চেই শুটিংয়ের জন্য লন্ডন পাড়ি দেবেন তাঁরা। আপাতত নেটাগরিক মজেছে রোহিত সেনের ক্যারিশ্মায়।