‘রকি অউর রানি’র প্রচারে (বাঁ দিকে) রণবীর সিংহ, টোটা রায়চৌধুরী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
তারিখ অনুযায়ী মাত্র তিন দিনের ব্যবধান। ৬ জুলাই রণবীর সিংহের জন্মদিন। তিন দিন পরে টোটা রায়চৌধুরীর। একই ছবিতে অভিনয় করার সুবাদে কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেকটা সময় একসঙ্গে থাকার সুযোগ ঘটেছিল। কর্ণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’র সেটে তাঁদের কাছাকাছি জন্মদিনের খবর কানে গিয়েছিল রণবীরের। শুনেই ছেলেমানুষি খুশিতে ভেঙে পড়ে টোটাকে জাপটে ধরেছিলেন রণবীর। হাসতে হাসতে পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, “সত্যিই স্যরজি, আমরা একই মাসে জন্মেছি?” বলিউড নায়কের জন্মদিনে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে জানালেন টোটা রায়চৌধুরী। বললেন, “এত ভাল ছেলে যে, কলাকুশলীরা সবাই ওকে আদর করে ‘বাবা’ বলে ডাকেন। সেটে পা রেখেই তাঁরা একে অন্যকে প্রশ্ন করতেন, আজ ‘বাবা’ আসবেন?” সেটে নায়ক থাকবেন শুনলেই সবার মুখে আনন্দের হাসি। পোড়খাওয়া গম্ভীর টেকনিশিয়ানও মুখভার করে থাকতে পারতেন না। যেন আপন কেউ এসেছে।
পর্দায় ‘গলি বয়’ সব সময় ভীষণ ছটফটে। পর্দার বাইরে সত্যিই কি তিনি এতটাই চনমনে? প্রশ্ন ছিল টোটার কাছে।
অভিনেতার কথায়, “অদ্ভুত সরল। বেশি রকমের ভাল একটা ছেলে। সারা ক্ষণ হইহই করছে। যে দিন ভোরে কলটাইম থাকত, সে দিন আমাদের ঘুম থেকে তোলার দায়িত্ব ওর। ড্রাম বাজিয়ে, হাঁকডাক করে সকলকে ডেকে তুলত।” ওর জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পী থেকে অভিনেতা, প্রত্যেক কলাকুশলীই দুশো শতাংশ দেয়। টোটার মতে, পরিচালক অ্যাকশন বললেই নায়ক ভোজবাজির মতো বদলে যান। মুহূর্তের মধ্যে ঢুকে পড়েন চরিত্রে। সেটা এতটাই নিখুঁত যে, বহু বার দেখার পরেও রণবীরে বার বার মুগ্ধ হয়েছেন টোটা। আরও একটা কথা বলেছেন তিনি বলি নায়ককে নিয়ে। অনেক অনুষ্ঠানে হয়তো রণবীর তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে হুল্লোড় করেছেন। যা দেখে অনুরাগী মহলে ধারণা, বাস্তবেও তিনি বোধ হয় এ ভাবেই সবার সামনে বৌকে ভালবাসা জানান। টোটা বলেছেন, “সেটা একেবারেই নয়। অবশ্যই রণবীর দীপিকা অন্তঃপ্রাণ। কিন্তু বাইরের লোকের সামনে কখনও তা প্রকাশ করেনি। ছেলেটি স্ত্রীকে সত্যিই সম্মান করে।”
টোটা উপলব্ধি করেছেন রণবীরের গভীরতা। এক বার তিনি রণবীরকে সটান প্রশ্ন করেছিলেন, “তুমি দুঃখ পাও না?” মুহূর্তের বিহ্বলতা কাটিয়ে চোখে চোখ রেখে নায়ক জবাব দিয়েছিলেন, “কাউকে দেখতে দিই না, জানতে দিই না”, বলেই চওড়া হাসি। টোটা রণবীরের মা-বাবাকে দেখেছেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপও করেছেন। সেই জায়গা থেকে বুঝেছেন, “পরিবার এত ভাল বলেই রণবীর এত ভাল। আম গাছে আমই হয়। আমড়া হয় না।”