মা পাড়ি দিয়েছেন কৈলাসে। কিন্তু পুজোর রেশ এখনও ফিকে হয়নি। কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রবিবার ছিল লক্ষ্মীপুজো। সাধারণ মানুষ থেকে সেলেবরা নিজের মতো করে বরণ করে নিলেন মা লক্ষ্মীকে। আপনার প্রিয় সেলেবরা কীভাবে উদযাপন করলেন লক্ষ্মীপুজো? দেখে নেওয়া যাক।
প্রতিবারের মতো এ বছরেও নিজের হাতে ভোগ রান্না করলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। টেনে বাঁধা খোঁপা, হাতে শাঁখা-পলা, লাল টিপে একেবারে বাঙালি সাজ। বানিয়েছেন খিচুড়ি, পনির, চাটনি, পায়েস। ভক্তদের জানিয়েছেন কোজাগরীর শুভেচ্ছাও।
মা লক্ষ্মীকে শ্রদ্ধা জানালেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পরেছিলেন সবুজ পাড় হলুদ শাড়ি। সঙ্গে মানানসই গয়না।
বিয়ের পর প্রথম লক্ষ্মী পুজো। তাই নুসরতের কাছে তা কিছুটা হলেও স্পেশ্যাল। দুর্গাপুজোতেও স্বামী নিখিলের সঙ্গে চুটিয়ে উপভোগ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। লক্ষ্মী বন্দনাতেও মেতে উঠলেন তিনি। হাতে বরণডালা, গায়ে সবুজ শাড়িতে তাঁকে দেখাচ্ছিল অপূর্ব।
টলি পাড়ায় বনি-কৌশানির প্রেমের কথা প্রায় কারও অজানা নয়। লক্ষ্মীপুজোতেও তাঁদের দেখা গেল এক সঙ্গে। দু’জনেই পরেছিলেন ম্যাচিং পোশাক।
লাল-হলুদ শাড়িতে পাওলি যেন সাক্ষাৎ লক্ষ্মী প্রতিমা। শ্বশুরবাড়িতে সদস্যদের সঙ্গে জমিয়ে পালন করলেন লক্ষ্মী পুজো। পড়লেন লক্ষ্মীর পাঁচালিও।
লক্ষ্মী বন্দনায় বাদ যাননি অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীও। সাবেক লুকে তিনিও স্বাগত জানালেন মা লক্ষ্মীকে। মহাসমারোহে পালন করলেন লক্ষ্মী পুজো।
এ বছর ত্রিশে পা দিল অপরাজিতা আঢ্যের বাড়ির পুজো। সকাল থেকেই অভিনেত্রী ছিলেন ব্যস্ত। একা হাতে সামলেছিলেনঅতিথিদের। মায়ের জন্য রান্না করেছিলেন খিচুড়ি, লাবড়া, চাটনি—যাকে বলে বিশুদ্ধ বাঙালি খাবার।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ও কোনও অংশে কম যাননা। এক সঙ্গে তাঁরাও মাতলেন লক্ষ্মী পুজোর আনন্দে। ছবিও পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কাজের জন্য বেশির ভাগ সময় মুম্বই থাকতে হলেও লক্ষ্মীপুজো কিন্তু কোনওভাবেই মিস করেননা অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। নিজের মতো করে মাকে বরণ করে নিলেন তিনিও।