সইফ-কাণ্ডের অভিযুক্ত ছবি: সংগৃহীত।
সইফ আলি খানের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। তদন্তে মুম্বই পুলিশ জানতে পারে, শরিফুল আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। বেআইনি ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই শরিফুল জামিনের আবেদন করেছেন। আগামী ১ এপ্রিল সেই আবেদনের শুনানি হবে।
আবেদনে শরিফুল জানিয়েছেন, তিনি কোনও অপরাধ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। শরিফুল ইসলামের কথায়, “পুরো ঘটনাই মনগড়া কল্পনা।” জামিন দেওয়া হলে আদালতের নির্দেশ সম্পূর্ণ ভাবে মেনে চলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
“সাক্ষী ও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও যদি অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার না করেন, তা হলেও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়,” বলেছেন শরিফুলের আইনজীবী অজয় গাওয়ালি। এই ঘটনার তদন্তও প্রায় শেষ বলে জানান তিনি। শুধু তদন্তের চার্জশিট তৈরি করা বাকি রয়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? গত ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে সইফের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন শরিফুল। চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি প্রবেশ করেছিলেন। প্রথমেই নাকি তিনি প্রবেশ করেছিলেন সইফ পুত্র জেহ-র ঘরে। সইফ পুত্রদের ন্যানি শরিফুলকে দেখতে পেয়ে ছুটে যান। তখন কোনও মতে পালিয়েছিল জেহ। ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে ছুটে এসেছিলেন সইফও।
সইফ বাধা দিতে যাওয়াতেই ঘটে যায় অঘটন। ছ’বার ছুরিকাঘাত করা হয় অভিনেতাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সইফের পিঠে গেঁথে ছিল ছুরির একটি টুকরো। অস্ত্রোপচার করে বার করা হয় সেই ছুরির টুকরো। পাঁচ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সইফ।