Celebrity Hair Mask Side Effects

নীতা, প্রিয়ঙ্কা, আলিয়ার কেশচর্চার টোটকা কি কার্যকরী! কী মাখেন তাঁরা? চিকিৎসক কী বলছেন?

চুলের যত্ন নিয়ে যাঁরা মাথা ঘামান এবং বিশ্বাস করেন তারকারা যা করছেন, তা চোখ বুজে অনুসরণ করাই ভাল চুলের গোড়ার কথা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:০৫
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

চেনাজানা কয়েকটি খাওয়ার জিনিস ফ্রিজ থেকে বার করে কিংবা রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে পেড়ে এক সঙ্গে মিশিয়ে, লেই বানিয়ে নিলেন। তার পরে সেটি মাথায় মেখে পেয়ে গেলেন এক ঢাল ঝলমলে চুল! চুলের যত্ন নিয়ে যাঁরা মাথা ঘামান এবং বিশ্বাস করেন তারকারা যা করছেন, তা চোখ বুজে অনুসরণ করাই ভাল চুলের গোড়ার কথা, তাঁদের অনেকে ওই সমস্ত কেশচর্চার টোটকা শুনে বা পড়ে আশান্বিত হন। কেউ কেউ মেনেও চলেন। কিন্তু সত্যিই কি তারকাদের ওই ধরনের টোটকায় কাজ হয়?

Advertisement

তারকাদের কেশচর্চার টোটকা কী?

কেশ চর্চার একটি বহুল প্রচলিত টোটকায় নিজেদেক আস্থার কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন নীতা অম্বানী, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং আলিয়া ভট্টের মতো তারকারা। সেই টোটকা হল দই এবং ডিম এক সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় মেখে তার পরে শ্যাম্পু করে নেওয়া। বহু রূপচর্চা শিল্পীও বাড়িতে তৈরি ওই হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু বলিউডের এক তারকা কেশসজ্জাশিল্পীর সম্প্রতি দাবি করেছেন, তারকাদের ব্যবহৃত ওই হেয়ারমাস্ক কার্যকরী বলে তিনি অন্তত মনে করেন না!

Advertisement

সত্যিই কার্যকরী নয়!

বলিউডের ওই তারকা কেশসজ্জাশিল্পীর নাম অমিত ঠাকুর। একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, নীতা-প্রিয়ঙ্কা-আলিয়ার ওই হেয়ার মাস্ক ঝলমলে চুল দিতে পারে ঠিকই, কিন্তু সেটি কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। অমিত বলছেন, ‘‘চুলে ওই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করার পরে চুলে এক ধরনের ঔজ্জ্বল্যের পরত পরে। যা পরের বার শ্যাম্পু করার পরেই উধাও হয়ে যায়। চুলকে বাইরে থেকে পুষ্টি জোগানোর ক্ষমতা নেই ওই হেয়ার মাস্কের। এমনকি, চুলের গোড়ার যে সমস্যা, তার সমাধান করারও ক্ষমতা নেই ওই মাস্কের।’’

পক্ষে-বিপক্ষে

অমিতের যুক্তি, চুল তার স্বাস্থ্যকর ঔজ্জ্বল্য হারাতে পারে নানা কারণে। শরীর সঠিক প্রোটিন এবং যথাযথ ভিটামিনের পুষ্টি না পেলে অথবা শরীরে কোনো রোগ হলে কিংবা দূষণ, তীব্র রোদ থেকেও চুল নষ্ট হতে পারে। তাই সমস্যা কোথায় তা জেনেই সমাধান খোঁজা উচিত।

যদিও অমিতের সঙ্গে পুরোপুরি এক মত নন ত্বকের চিকিৎসক সঞ্জয় আগরওয়াল। এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, চুলের সমস্যার নানারকম কারণ হতে পারে ঠিকই তা বলে দই আর ডিমের মাস্কে চুলে পুষ্টি জোগায় না, এ কথা ঠিক নয়। চিকিৎসকের কথায়, ‘‘এ কথা ঠিকই দই আর ডিমের প্যাক ব্যবহার করে চুল ভাল রাখার সপক্ষে খুব বেশি গবেষণাজাত প্রমাণ নেই। তবে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাপদ্ধতিতে বহুবছর ধরে ওই টোটকা ব্যবহার করা হচ্ছে। তা ছাড়া ডিমে যে প্রচুর প্রোটিন আছে, আর দই যে প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য কার্যকরী, সে কথা তো প্রমাণিত।’’

তা হলে কী করবেন?

১। দই আর ডিম মাখলে তা থেকে চুলে যে আঁশটে গন্ধ হয়, তা মানছেন চিকিৎসক।

২। কেশচর্চার শিল্পীরাও বলছেন, ওই ধরনের মাস্ক চুলে ব্যবহার করলে ভাল করে চুল ধোয়া জরুরি। কারণ মাস্কের উপাদান চুলের গোড়ায় আটকে থাকলে তা থেকে হিতে বিপরীত হতে পারে। মাথার ত্বকে সংক্রমণও হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

৩। যেকোনও প্রাকৃতিক জিনিসের মতো ওই ধরনের মাস্ক থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগে ত্বকে ওই মাস্ক ব্যবহার করে নিরাপদ বুঝলে তবেই চুলে ব্যবহার করুন।

৪। চিকিৎসক বলছেন, একটু সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করলে বাজারচলতি রাসায়নিক জিনিসের বদলে ঘরোয়া হেয়ারমাস্ক ব্যবহার করা ভাল। কারণ তাতে প্যারাবেন, সালফেটের মতো ক্ষতিকর উপাদান থেকে বাঁচবে ত্বক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement