Match Fixing in Pakistan Cricket

পাকিস্তান ক্রিকেটে গড়াপেটার ছায়া, ২৪ জন ক্রিকেটারের এজেন্টের বিরুদ্ধে শুরু তদন্ত

পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্তত ২৪ জন ক্রিকেটারের এজেন্টের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযুক্ত এজেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫৪
Share:
cricket

আবার গড়াপেটার ছায়া ক্রিকেটে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আবার ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া পাকিস্তান ক্রিকেটে। পাকিস্তানের অন্তত ২৪ জন ক্রিকেটারের এজেন্টের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযুক্ত এজেন্টকে নির্বাসিত করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। তার পরে টনক নড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন মহসিন নকভিরা।

Advertisement

মুঘিজ আহমেদ শিয়ারাচিকের সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন’ গত বছর পাকিস্তানের ২৪ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সেই ক্রিকেটারেরা হলেন— আমির জামাল, মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, আবদুল্লা শফিক, আরাফাত মিনহাস, হাসিবুল্লা, জাহানদাদ খান, কামরান গুলাম, খুর্‌রম শাহজ়াদ, মহম্মদ আলি, মহম্মদ হুসনেইন, মহম্মদ হুরেইরা, ইরফান নিয়াজি, নাসিম শাহ, নৌমান আলি, শাহিবজ়াদা ফারহান, সাইম আয়ুব, সাজিদ খান, শাদাব খান, সুফিয়ান মুকিব, তৈয়ব তাহির, ইমাম উল হক, মহম্মদ হ্যারিস, সরফরাজ় আহমেদ ও উসামা মির।

ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডে ক্রিকেটারদের এজেন্ট হিসাবে নাম নথিভুক্ত রয়েছে মুঘিজের। বোর্ডের দুর্নীতি-দমন নীতি চার বার ভেঙেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্থায় চুক্তিবদ্ধ পাক ক্রিকেটারদের খেলানোর জন্য ইংল্যান্ডের এক কোচকে তিনি ঘুস দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই কোট সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে জানান। তার পরেই মুঘিজকে নির্বাসিত করেছে ইংল্যান্ড বোর্ড।

Advertisement

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। মুঘিজের সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দ্রুত চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসতে। ইতিমধ্যেই কয়েক জন সেই কাজ করেছেন। মুঘিজ ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে ক্রিকেটারদের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আরও কড়া আইন নিয়ে আসতে। যাতে ইচ্ছা করলেই কোনও সংস্থা কোনও ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে।

২০১০ সালে এই রকমেরই এক এজেন্টে মাজহার মাজিদের কথায় স্পট ফিক্সিং করেছিলেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার সলমন বাট, মহম্মদ আসিফ ও মহম্মদ আমির। সেই ঘটনাও ঘটেছিল ইংল্যান্ডে। জেলের সাজা হয়েছিল মাজিদের। জানা গিয়েছিল, পাকিস্তানের বেশ কয়েক জন সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। তাই এ বার দেরি করতে চাইছেন না নকভিরা।

পাকিস্তানের তিন সিনিয়র ক্রিকেটার বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি অবশ্য অন্য একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। সেই সংস্থার নাম ‘সায়া কর্পোরেশন’। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইনজ়ামাম উল হকের যোগ রয়েছে সেই সংস্থায়। সেই কারণেই ২০২৩ সালে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল ইনজ়ামামকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement