‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বহু নারীর গল্প বলে, যাঁদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। —ফাইল চিত্র
মুক্তির আগে থেকেই বিতর্কে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। বক্স অফিসে ২০০ কোটির অঙ্ক ছাড়ালেও সমস্যা পিছু ছাড়ছে না সুদীপ্ত সেন পরিচালিত সেই ছবির। এত দিন দেশের মাটিতে প্রতিবাদের মুখে পড়ার পর এ বার বিদেশেও বিপাকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এ ছবি প্রদর্শনের জন্য মরিশাসের মাটিতে হুমকি চিঠি পেলেন এক প্রেক্ষাগৃহের মালিক।
প্রেক্ষাগৃহের নাম করে চিঠিতে বলা আছে, “বোমা পোঁতা আছে, সিনেমাহল উড়িয়ে দেব!” আরও লেখা, ‘‘‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখালে অচিরেই ধুলোয় মিশে যাবে সিনেমাহল।’’
প্রেক্ষাগৃহের মালিক এ কথা জানানোর পর সিনেমা হলে নিরাপত্তা বাড়ানোর বন্দোবস্ত করেছেন প্রযোজক বিপুল শাহ। আতঙ্কের প্রহর কাটছে প্রেক্ষাগৃহে। যদিও সুদীপ্ত এখনও এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেননি। বিপুল এবং সেই হলমালিকের সন্দেহ, আইসিস জঙ্গিদের সমর্থকরাই এ ধরনের হুমকি পাঠাচ্ছে।
এর আগে হুমকি পেয়েছেন অভিনেত্রী অদা শর্মাও। বিভিন্ন রাজ্য, এমনকি, দেশের বাইরে থেকেও ফোন পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বহু নারীর গল্প বলে, যাঁদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। যদিও চিত্রনাট্য টেনে নিয়ে যায় মূল তিন জন নারী, যারা কেরলের বাসিন্দা। মগজধোলাই করে তাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করে আইসিস জঙ্গিরা। মর্মান্তিক সেই অধ্যায় বিশদে চিত্রিত হয়েছে সুদীপ্তের ছবিতে।
পরিচালক জানিয়েছেন, এ ছবি সত্য ঘটনা অবলম্বনে। কোনও মতেই চিত্রনাট্যকে কাল্পনিক বলতে পারবেন না। এ দিকে, ‘কাল্পনিক’ না বললে বাংলায় প্রদর্শিত হবে না, এমন নির্দেশও জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ৮ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন এই ছবিকে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ, এমনটাই জানান মমতা। তবে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও বনগাঁর একটি সিনেমা হল ছাড়া অন্য কোথাও প্রদর্শিত হচ্ছে না ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। সেই আবহে বক্স অফিসের দৌড় অবশ্য থমকে নেই। দেশ-বিদেশের বহু প্রেক্ষাগৃহে ঝুঁকি নিয়েই চলছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। দর্শক প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে সত্যপ্রকাশের এই দুঃসাহসিক প্রয়াসকে।