বদল আসছে ক্যামেরা গিল্ডেও। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
আরজি কর-কাণ্ড নতুন করে যেন ঘুম ভাঙিয়েছে দেশের। যার জেরে নারী নির্যাতনের মতো বহুল চর্চিত বিষয় নতুন করে চর্চায়। একই ভাবে শনিবার কাজের অভাবে এক কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টা নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে টলিউডকে। খবর, সদস্যদের কথা পুনর্বিবেচনা করেই দ্বিতীয় ক্যামেরাম্যান বাছাইয়ের নীতিতে বদল আনছে ক্যামেরা গিল্ড। খবরের সত্যতা জানতে আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল গিল্ডের সম্পাদক স্বপন মজুমদারের সঙ্গে। তিনি খবরে সিলমোহর দিয়েছেন। এ-ও শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই গিল্ডের সদস্য সিনেম্যাটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী নাকি তাঁর সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আনন্দবাজার অনলাইন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি কোনও কথা বলবেন না।
শনিবার ঘটে যাওয়া অঘটনই কি এই বদলের নেপথ্য কারণ? প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে। বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্বপন। তাঁর দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল। ১৫ জনের কমিটির আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনও ভাবেই যাতে ক্যামেরাম্যানদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ না হয়, সেই দিক চিন্তা করেই এই বদল।
ধারাবাহিকে দ্বিতীয় ক্যামেরার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। সেই মতো পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সংখ্যক দ্বিতীয় ক্যামেরাম্যানের মধ্যে থেকে পরিচালককে পছন্দের ক্যামেরাম্যান বেছে নিতে হত। উদাহরণ হিসেবে স্বপন বলেছেন, “ধরুন, ১০ জন দ্বিতীয় ক্যামেরাম্যান রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে বেছে নিতে হবে পরিচালককে। এতে অনেক সময়েই একজন ক্যামেরাম্যানেরই বারে বারে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হত। এ-ও দেখা যেত, তিনি হয়তো ১৫ জনের কমিটির একজন। একটা সময়ের পরে স্বাভাবিক ভাবেই মনক্ষুণ্ণ হচ্ছিলেন বাকি ক্যামেরাম্যানেরা। পক্ষপাতিত্বের ধারণাও জন্মাচ্ছিল তাঁদের মনে।” অনেক সময় বাকিরা নিজেদের মতো কাজ বেছে নিচ্ছিলেন। কিছু জন ঠিকমতো কাজও পাচ্ছিলেন না। এই জায়গা থেকেই বদলের প্রয়োজন অনুভব করে গিল্ড।
তা হলে নতুন নিয়ম কী হচ্ছে? গিল্ডের সম্পাদকের কথায়, “এত দিন নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্যামেরাম্যানের মধ্যে থেকে দ্বিতীয় ক্যামেরাম্যান বাছতে হত। সেই বাধ্যবাধকতা আর থাকছে না। গিল্ডের ৪৫০ জন সদস্যদের মধ্যে থেকে যাকে খুশি, তাঁকেই দ্বিতীয় ক্যামেরাম্যান হিসেবে বেছে নিতে পারবেন ধারাবাহিকের পরিচালক।” তবে সিনেম্যাটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দীর বিষয়টি নিয়ে তিনিও মুখ খুলতে চাননি।