টানা ২ বছর জনপ্রিয় ধারাবাহিকের তকমা ধরে রাখার পর শেষ হচ্ছে জি বাংলার ‘আলো ছায়া’।
২০১৯ থেকে ২০২১। টানা ২ বছর জনপ্রিয় ধারাবাহিকের তকমা ধরে রাখার পর শেষ হচ্ছে জি বাংলার ‘আলো ছায়া’। মনখারাপ গোটা টিমের। আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিষণ্ণ ‘আলো’ দেবাদৃতা বসুও। চিত্রনাট্যের দাবি মেনেই শেষ হচ্ছে ‘আলো ছায়া’? দেবাদৃতা জানালেন, শুধু চিত্রনাট্য নয়, টিআরপি, গল্প, সময়--- সব দিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত চ্যানেল কর্তৃপক্ষের। সায় দিয়েছেন ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার সুশান্ত দাসও।
বুধবার শেষ শ্যুটিং ছিল মেগার। শ্যুট শেষে গোটা টিম এক ফ্রেমে বন্দি। যদিও তার আগে ক্যামেরাকে আড়াল করে চোখ মুছেছেন প্রায় সবাই। ‘আলো’ যেমন স্পষ্ট জানালেন, ‘‘টানা ২ বছর কাজ করতে করতে আমরা সবাই একটা পরিবার হয়ে গিয়েছিলাম। সবার সমস্যায় সবাই এগিয়ে আসতেন। এ ওকে খাইয়ে দিতেন। খুব মিস করব।’’ তার পরেই জানালেন, এই রেশ থাকতে থাকতে শেষ হয়ে যাওয়াই ভাল। তিনি নিজেও বুঝেছিলেন এ বার থামা দরকার।
ধারাবাহিক থেকে নাকি ব্রেক চাইছিলেন দেবাদৃতাও। কেন? সাফ জবাব, ‘‘এক টানা একটি চরিত্র করার পর নতুন কিছু করার খিদে জাগে। হয়তো সেই অনুভূতি থেকেই আমার এই চাওয়া।’’ নতুন কোনও অফার পেয়েছেন? ‘আলো’র জবাব, একাধিক কাজের অফার তাঁর হাতে। এখনও ঠিক করেননি কোনটা করবেন। তাই আগাম কিছুই জানাতে পারছেন না।
পৃথিবীতে আলোর বিপরীতে ছায়ার অবস্থান। ধারাবাহিকেও ২ বোন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। আলো ছোট থেকেই শান্ত, বাধ্য মেধাবী। মাসতুতো বোন ছায়া একদম উল্টো। খুব ছোটবেলায় দুর্ঘটনায় মা-বাবাকে হারিয়ে মাসি-মেসোর আশ্রয়ে থাকতে বাধ্য হয় আলো। মেসোর চাপেই তাকে একটা সময় বোন ছায়ার সঙ্গে নিজের পরিচয় বদলে নিতে হয়। পরে একই পরিবারে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু ছায়ার জন্য প্রতি পদে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আলোকে।
তার মধ্যেই আলো আর আকাশের জুটি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল টেলি অনুরাগীদের কাছে। ‘‘আলো-আকাশের সেই রসায়ন দিয়েই শেষ হচ্ছে ধারাবাহিক’’ সঙ্গে সঙ্গে ফাঁস করলেন ‘আলো’। জানালেন, ‘‘মাঝে ৭ বছরের ব্যবধান ছিল। জনপ্রিয় রক স্টার হওয়ার পর এলোমেলো জীবন যাপন শুরু করেছিল আকাশ। আলোর চেষ্টায় আবার সে সুস্থতার পথে ফিরবে।’’
আকাশ আবার আগের মতো গান গেয়ে মঞ্চ মাতাচ্ছে। ফিরে এসেছে আলোর কাছে, এই দৃশ্যই ধারাবাহিকের শেষ দৃশ্য।