(বাঁ দিকে) সৃজিত-মিথিলা। (ডান দিকে) তাসলিমা নাসরিন। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এই দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, কূটনৈতিক আদানপ্রদান লেগেই রয়েছে। একটা সময় দুটো দেশ ছিল একই, এখন মাঝখানে নাক উঁচিয়ে রয়েছে পাহারার কাঁটাতার। কিন্তু সেই প্রহরার দরজা খুলে বারা বার হৃদয়ের ডাকে সাড়া দিয়েছেন দুই বাংলার তারকারা। মিলন যেমন হয়েছে, তেমন বিচ্ছেদও হয়েছে। কবীর সুমন-সাবিনা ইয়াসমিন থেকে অর্ণব-সাহানা, দু’পারের তারকা জুটির দৃষ্টান্ত অনেক।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘টেক্কা’ মুক্তির দিন এ বিষয়ে মন্তব্য করে বসলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। দুই বাংলার শিল্পীদের দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন তুললেন লেখিকা। তসলিমা সরাসরি কবীর সুমন ও সাবিনা ইয়াসমিনের নাম উল্লেখ করেছেন তাঁর পোস্টে। ২০০০ সাল নাগাদ সাবিনাকে বিয়ে করেছিলেন সুমন। তার কিছু দিন আগে সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে হয়েছিলেন কবীর সুমন। বিয়ে টেঁকেনি বেশি দিন। বহু বছর হল বিচ্ছেদ হয়েছে সুমন-সাবিনার। সে প্রসঙ্গ সামনে রেখেই তসলিম প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার দাম্পত্য জীবন নিয়ে। তবে কি বিচ্ছেদের পথে তাঁরাও!
সুমন-সাবিনার দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানা ভাবে জলঘোলা হয়েছে। এখন সুমন থাকেন কলকাতায়, সাবিনা ফিরে গিয়েছেন নিজের দেশে। এই ঘটনার বহু বছর পর কূটনৈতিক সীমানা ছাড়িয়ে ফের দু’টি মন এক হয়েছিল। ২০১৯ সালে বিয়েও করেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কেও কি মেদ জমল এ বার? সেই প্রশ্ন তুলে তসলিমা সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের মধ্যে রোমান্টিক বা বৈবাহিক সম্পর্ক কেন টিকছে না? সাবিনা ইয়াসমিন আর কবীর সুমন বিয়ে করলেন। বিরাট হইচই হল। দু’জনে কিছুদিন একসঙ্গে গান গাইলেন। এর পর নিস্তব্ধতা। যে যাঁর মতো যাঁর যাঁর দেশে জীবন যাপন করছেন। সাবিনা আর সুমনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক অবশিষ্ট রয়েছে বলে মনে হয় না। এর পর সৃজিত আর মিথিলা বিয়ে করলেন। বিরাট হইচই হল। দু’জনে কিছু দিন একসঙ্গে চলাফেরা করলেন। এর পর নিস্তব্ধতা। যে যাঁর মতো যাঁর যাঁর দেশে জীবন যাপন করছেন। সৃজিত তাঁর ১০/১২টা সাপ নিয়ে, আর মিথিলা তাঁর কন্যা নিয়ে। মিলন থাকলে বিচ্ছেদ থাকে, এ নতুন কিছু নয়।”
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতায় যাতায়াত কমেছে মিথিলার। চাকরির কাজে বেশির ভাগ সময় কাটে তানজ়ানিয়ায়। সৃজিতের কর্মজগৎ কলকাতা-মুম্বইয়ে মিলিয়ে মিশিয়ে। বিয়ের আগে সৃজিত তাঁর কর্মজীবনের জন্য যতটা প্রচারের থাকতেন, প্রেমজীবনের জন্যও ততটা। ২০২৩ সালের পর থেকেই মিথিলার সঙ্গে সম্পর্কে শৈত্য এসেছে বলে মনে হয়। মেয়েকে নিয়ে কখনও নিজের দেশে, কখনও অন্য মহাদেশে থাকেন মিথিলা। শোনা যায়, সৃজিত নাকি প্রায় সাতটি সাপ নিয়ে সংসার করছেন। মিথিলা মাঝে এক বার কলকাতায় ঝটিকা সফরে এসে জানিয়েছিলেন, সৃজিত নাকি তাঁর সাপদের নিয়ে বেশ ব্যস্ত। যদিও বিচ্ছেদের জল্পনা প্রতি বারই উড়িয়ে দিয়েছেন। কলকাতা না থাকার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন কর্মব্যস্ততা। এ বার তসলিমার মন্তব্যে যেন ফের জোরালো হল তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা। দুই দেশে নাগরিকের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী তসলিমা শেষে সংযোজন করেন, “দুই দেশের মানুষের মধ্যে হৃদয়ের বন্ধন দৃঢ় হলে অসাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন চমৎকার হতে পারত।”