বাধা পেরিয়ে এগোতে চান তনুশ্রী।
২০১০ সালে শেষ বার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১৮-এ বলিউডে ফিরছেন ঘোষণা করলেও সে ভাবে আর দেখা যায়নি তনুশ্রী দত্তকে। বরং গত এক বছরে নাকি নানা ভাবে তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে কেউ বা করা। সে কথা নিজেই জানালেন ‘চকোলেট’-এর নায়িকা। সঙ্গে জোর গলায় বললেন, ভয় পেয়ে হার মানার মানুষ নন তিনি।
বেশ কয়েক বছর পর্দা থেকে দূরেই ছিলেন। ২০১৮-য় ফেরার চেষ্টা করতেই বিভ্রাটের সূত্রপাত। অনুরাগীদের উদ্দেশে এক দীর্ঘ বার্তায় অভিনেত্রীর দাবি, নানা ভাবে হেনস্থা করে তাঁর ক্ষতি করে দিতে কেউ বা কারা যেন উঠেপড়ে লেগেছে। সেই ‘অদৃশ্য শত্রু’দের উদ্দেশে তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘আমি ভয় পেয়ে আত্মহত্যা করব না। এটা নিশ্চিত। পরিষ্কার করে সেটা শুনে রাখো। এখানে থাকতে এসেছি। থাকব। এবং নিজেকে নতুন করে গড়বও।’
কিন্তু কী ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তনুশ্রীকে?
‘আশিক বনায়া আপনে’র নায়িকার দাবি, গত এক বছরে তাঁর কেরিয়ারে স্যাবোটাজের চেষ্টা চলছে। কখনও পরিচারিকা অলক্ষে তাঁর পানীয় জলে স্টেরয়েড বা অন্য ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ওষুধ শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। গত মে মাসে দু-দু’বার ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর গাড়ির ব্রেক খারাপ করে রেখেছিল কেউ। যাতে দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন তিনি। ইদানীং তাঁর ফ্ল্যাটের সামনেও অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন তনুশ্রী।
অভিনেত্রীর মতে, একদা মেয়েদের জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত বলে পরিচিত মুম্বই তথা বলিউড এখন মাফিয়া-রাজ আর রাজনীতির ফাঁসে এই চেহারা নিয়েছে। সেই সঙ্গে ‘মি টু’ এবং এক এনজিও কেলেঙ্কারিতে কয়েক জনের মুখোশ খুলে দেওয়াতেও তিনি নিশানা হচ্ছেন বলে আশঙ্কা তনুশ্রীর। তবে তিনি যে এতে কোনও ভাবেই দমবেন না, সে কথা স্পষ্ট জানাতেও ভোলেননি অভিনেত্রী।