জীবনের গভীরতায় যে ভাবে ডুব দিয়েছেন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী
সার্ডিনিয়া সফরে সুস্মিতা সেন। ভূমধ্যসাগরের নীল জলরাশির মাঝে গিয়ে ভিড়ল সাদা প্রমোদতরী। পায়ে পায়ে নেমে এসে কয়েক মুহূর্ত বিরাম। শরীর টান টান করে জলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী। সাঁতরে দূর করছেন জীবনের ক্লেদ, দুশ্চিন্তা। আঁজলা ভরা শুদ্ধতা, স্বপ্ন নিয়ে ভেসে চললেন। ঘুরে এসে ভিডিয়োটি শেয়ার করেছিলেন সুস্মিতা। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘সংযত হয়ে দাঁড়াও, থামো, শ্বাস নাও... চলো! নিজেকে ছেড়ে দেওয়ার মুহূর্তে অনেক কিছু শেখা যায়। যেমন আমায় শিখিয়েছে ভূমধ্যসাগর। জীবনের গভীরতায় আমি এমন করেই ঝাঁপ দিতে চাই। সবাইকে ভালবাসি।’ শেষে বরাবরের মতো বাঙালিয়ানার সিলমোহর। লেখেন ‘দুগ্গা দুগ্গা’।
সেই ভিডিয়োর নীচে ভালবাসা উজাড় করে দিয়েছেন সুস্মিতার অধুনা প্রেমিক তথা প্রাক্তন আইপিএল কর্তা ললিত মোদী। লিখেছেন, ‘সার্ডিনিয়ায় তুমি উষ্ণ!' তাতে অনুরাগীরা মন্তব্য করেছেন, 'ভালবাসা এমনই হয়।’
ইতিমধ্যে বিতর্কের ঝড় অনেকটাই থেমেছে। ১৪ জুলাই ললিত-সুস্মিতার সম্পর্ক জানাজানি হতেই তা নিয়ে যে পরিমাণ ঠাট্টা-ইয়ার্কি চলেছে, সেই রেশ এখন অনেকটাই ক্ষীণ। এর কৃতিত্ব যদিও যুগলেরই। দু'জনেই প্রকাশ্যে এসে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ভেবেচিন্তেই ব্যক্তিগত জীবনযাপন করছেন। নিন্দকদের কটাক্ষ ফিরিয়ে দিতে ভোলেননি ললিত। আর সুস্মিতা? তিনি অনুরাগীদের সংকীর্ণ মনের পরিচয় পেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। তার পরই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় রাশি রাশি উপহার। ভালবাসার অভিজ্ঞান হিসেবে সেগুলি পাঠান তাঁর অনুরাগীরাই।