রিয়ার দু’টি ফোনই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে রিয়া চক্রবর্তীর ফোন কল একেক সময় একেক রকম চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে আসছে। সুশান্তের মৃত্যুর আগে পরে মহেশ ভট্টকে ফোনের তথ্য পাওয়ার পরে এ বার আরও বিস্ময়কর তথ্য উঠে এল। সুশান্তের মৃত্যুর আগে এবং পরে রিয়া ‘এইউ (AU)’ নামক এক ব্যাক্তিকে ফোন করেছিলেন। ট্রু-কলারে তাঁর নাম দেখা যাচ্ছে ‘এইউ (AU)’ । যাঁকে মোট ৪৪ বার ফোন করেছেন রিয়া। আর ইনকামিং কল হয়েছে ১৭ বার । কে এই ‘এইউ ’?
দেখা গিয়েছে, মহারাস্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরের টুইটের অ্যাকাউন্টের মাথায় লেখা রয়েছে ‘এইউ (AU)’ । আবার রিয়ার এক বান্ধবীর নাম অনন্যা উধাস । ‘এইউ’ তিনিও হতে পারেন । বা ট্রু-কলারে অন্য কারও নামও ভেসে আসতে পারে । তবে যিনিই হন না কেন, রিয়া যে তাঁকে বেশ ভরসা করতেন তা স্পষ্ট । সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ১৩ জুন ও মৃত্যুর পর দিন, অর্থাৎ ১৫ জুন ‘এইউ ’ একাধিকবার ফোন করেছিলেন রিয়াকে । ২০ জুন ৩০০ সেকেন্ড কথা বলেন তিনি, ১৪ জুলাই বেশ কিছুক্ষণ।
সিবিআই রিয়ার ‘এইউ’ কে খুঁজছে। সন্দেহ আরও বেড়েছে কারণ, রিয়ার ফোনে সকলের নামই স্পষ্ট করে লেখা, যেমন ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, শ্রুতি মোদী। কিন্তু শুধু ‘এইউ’ এ ভাবে লেখা কেন? রহস্য সেখানেই।
অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর দু’টি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। শুধু রিয়াই নন, তাঁর ভাই শৌভিক এবং বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর মোবাইল ফোনও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে তারা। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের কললিস্টই খতিয়ে দেখা হবে। ফোন ছাড়াও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চক্রবর্তী পরিবারের দু’টি ল্যাপটপ এবং দু’টি আইপ্যাডও। সব ক’টি গ্যাজেটই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: সিবিআই তদন্তে আপত্তি কোথায়, রিয়াকে কোর্ট
আরও পড়ুন: পাঁচ বার বিয়ে, ১৮ বছর কর্মহীন এই খলনায়কের পচনধরা দেহ উদ্ধার হয় নিজের ফ্ল্যাটে
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা যদি বিহার থেকে মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত না করা হয় তবে কিছুতেই বিচার পাবেন না রিয়া। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এ ভাবেই সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর হয়ে আর্জি জানালেন তাঁর আইনজীবী শ্যাম ডিভান।
সুশান্ত মামলা বিহার থেকে মুম্বইয়ে সরিয়ে আনার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। এ দিন ছিল সেই মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিন। বিহার পুলিশ, মুম্বই পুলিশ এবং মহারাষ্ট্র সরকার— এই তিন পক্ষের কৌঁসুলির উপস্থিতিতে আজ প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে শুনানি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব পক্ষের বক্তব্য লিখিত ভাবে জানাতে হবে। পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার, ১৩ অগস্ট।