১ জুলাই সুশান্তের যে ভিসেরা রিপোর্ট আসে, সেখানে কোনও বিষক্রিয়ার প্রমাণ মেলেনি।
সুশান্তের শরীরে মাদক আছে কি না ভিসেরা পরীক্ষায় তা খতিয়ে দেখেনি মুম্বই ফরেন্সিক ল্যাব। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-কে দেওয়া রিপোর্টে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) এমনটাই জানিয়েছে বলে দাবি করছে মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যম। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় অভিনেতা মাদকগ্রস্ত ছিলেন কি না সেই দিকটি ঠিক করে খতিয়ে না দেখার অভিযোগ উঠল মুম্বই ফরেন্সিক ল্যাবের বিরুদ্ধে।
গত ১ জুলাই সুশান্তের যে ভিসেরা রিপোর্ট আসে, সেখানে কোনও বিষক্রিয়ার প্রমাণ মেলেনি। সেই রিপোর্টে বলা হয় আস্ফিক্সিয়া অর্থাৎ শ্বাসরোধের কারণে অভিনেতার মৃত্যু হয়। পাশাপাশি, মৃত্যুর সময় কোনও ধস্তাধস্তিরও প্রমাণ মেলেনি বলে জানা যায়। অভিনেতার নখের নীচ থেকেও সন্দেহজনক কোনও প্রমাণ মেলেনি।
সোমবার চিকিৎসক সুধীর গুপ্তের নেতৃত্বে এমসের চিকিৎসকদের একটি দল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে সুশান্তের ভিসেরা রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় তদন্তের এই ফাঁক নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিশেষ সূত্রে খবর, সিবিআই মুম্বই ফরেন্সিক ল্যাবের সেই রিপোর্ট এ বার খতিয়ে দেখতে চলেছে।
আরও পড়ুন: নিজের ছবি পোস্ট করে ট্রোলড হলেন সোহম!
আরও পড়ুন: মুম্বই পুলিশ সমন পাঠাল অনুরাগ কশ্যপকে
মুম্বইয়ের একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এমসের ভিসেরা রিপোর্টে বিষক্রিয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে এই মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও সম্ভাবনাকেই এই মুহূর্তে নাকচ করতে নারাজ সিবিআই। তাই সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা কাউকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়নি। মুম্বই পুলিশ এবং কুপার হাসপাতালও রয়েছে সেই তালিকায়। এক দিকে যেমন মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনেছিল সুশান্তের পরিবার, তেমনই কুপার হাসপাতালকে নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, সিবিআই তদন্তের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে এমসের রিপোর্টের চূড়ান্ত ফল জানার পর। ফের ডেকে পাঠানো হতে পারে দীপেশ সবন্ত, সিদ্ধার্থ পিঠানি-সহ সুশান্তের বাকি কর্মচারীদের, যাঁরা তাঁর মৃত্যুর দিন অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন।