ববি দেওল ও সানি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
২০২৩ সালটা দেওল ব্রাদার্সের জন্য যে বেশ শুভ তার প্রমাণ আগেও মিলেছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময় মুক্তি পায় সানি দেওল অভিনীত গদর ২। বক্স অফিসে ৫০০ কোটির বেশি ব্যবসা করেন এই ছবি। বলা যেতে পারে সানির অস্তমিত কেরিয়ারে নতুন শ্বাসবায়ু দিয়েছে এই ছবি। বছরের শেষে মুক্তি পায় ‘অ্যানিম্যাল’। গোটা ছবি জুড়েই রয়েছেন রণবীর কপূর। সেই ছবিতে মোটে ২০ মিনিট দেখা যায় তাঁকে, তাতেই কামাল করেছেন ববি। যদিও এই ছবি নিয়ে বিস্তর সমালোচনা-কাঁটাছেড়া চলেছে সমাজমাধ্যমের একাংশ থেকে বিদ্বজ্জন মহলে। তবে বিতর্ক-সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে প্রেক্ষাগৃহে চলেছে ‘অ্যানিম্যাল’। বিশ্বব্যাপী ব্যবসার অঙ্ক প্রায় ১০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। শনিবার ছিল ছবির সাকসেস পার্টি। কলাকুশলীদের অনেকেই এসেছিলেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। মা, স্ত্রী, শ্বশুরমশাইকে নিয়ে হাজির হন রণবীর কপূর. অনেকেই ভেবেছিলেন দাদা সানি দেওলকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন ববি। কিন্তু ভাইয়ের সাফল্যের এমন দিন গরহাজির রইলেন দাদা।
‘গদর ২’-এর মাধ্যমে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটেছে সানি দেওলের। ২২ বছর পর ‘গদর’-এর সিক্যুয়েল দর্শকরা পছন্দ করবেন কি না, তা নিয়ে ছবিমুক্তির আগে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বক্স অফিসের যাবতীয় অনুমান ভুল প্রমাণিত করেছে সানি। এই ছবির সাকসেস পার্টিতে দাদার ছায়াসঙ্গী হয়েছিলেন ববি, কিন্তু ভাইয়ের ক্ষেত্রে একই কর্তব্য পালনে কী কারণে চ্যুত হলেন সানি? এমনিতেই সিনেমার পার্টিতে সচরাচর দেখা যায় না সানিকে। বলা ভাল, নিজে থেকেই দূরে থাকতে চান। এক সাক্ষাৎকারে সানি বলেন, ‘‘আমি খুব রাত পর্যন্ত জেগে থাকি না। শুরুতে অনেকেই আমাকে নাকউঁচু, দাম্ভিক মনে করতেন। অনেকেই আবার আমাকে লাজুক মনে করতেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সবাই বুঝতে পেরেছেন আমার অনুপস্থিতির কারণ। এ ছাড়া ফিল্মি পার্টি মানেই মদ্যপান, রাত জাগা ও কূটকচালি।’’ বলিউডের পার্টি সম্পর্কে সানির এই ধারণার কারণে ভাইয়ের সঙ্গে ‘অ্যানিম্যাল’-এর সাকসেস পার্টিতে দেখা যায়নি তাঁকে।