Sujoy Prasad Chatterjee

‘রূপান্তরকামী কি সাংসদ হতে পারেন না?’ প্রশ্ন সুজয়প্রসাদের

চলতি নির্বাচনকে মাথায় রেখে শুরু হয়েছে আনন্দবাজার অনলাইনের বিশেষ বিভাগ ‘ভোটের দিব্যি’। নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মনোভাব ব্যক্ত করছেন আপনাদের পরিচিত মুখেরা। এ বারে ভোট নিয়ে লিখলেন শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৪ ১১:২২
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ভোট নিয়ে আমি সত্যিই আর কিছু ভাবি না। আসলে কে জিতল, কে হারল এ সব নিয়ে আমার কোনও উৎসাহ নেই। তার কারণ একটাই, কাকে বিশ্বাস করব?— জানি না।

Advertisement

মানুষের হিতসাধন নিয়ে এই সময় একটা ‘সার্কাস’ শুরু হয়। ট্র্যাপিজ়ের একটা ভয়ঙ্কর খেলা চলে। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ঝুলে থাকে জনতা। তার পরে আবার এক রকম জীবন। প্রতিশ্রুতির বন্যা। কিন্তু নির্বাচনের পরে সে সব উধাও।

সক্রিয় রাজনীতিতে আসবার আমন্ত্রণ দু’এক বার এসেছে। ভোটের প্রচার করার জন্য মোটা টাকার প্রস্তাবও পেয়েছি। গ্রহণ করিনি। আমার কি লোভ নেই? না কি আমি অতি ধনী একজন উদ্যোগপতি?

Advertisement

সমাজমাধ্যমে একটা ভিডিয়োতে ক’দিন আগে দেখলাম, একজন সিনেমা জগতের মানুষ ভোট নিয়ে নিজের মতো করে কী সব যেন বলে চলেছেন! আমার ধারণা, ওঁকে ওঁর পেশাদারিত্ব নিয়ে ‘ব্রিফ্’ করা হয়নি, তাই ও ভাবে বলেছেন। এ সব ক্ষেত্রে তা হয়ও না বোধহয়। ফলে উনি ওঁর মতো করে বলে যাচ্ছেন! তার কতটা কী অন্যদের জন্য জরুরি, কে শুনছে, কে অন্য অর্থ বানাচ্ছে, না ভেবেই বলে যাচ্ছেন!

ভোটের বাজারে অনেকেরই জনপ্রতিনিধি হওয়ার বাসনা জাগে। ভোট চলে গেলে নিজের আখের হিসাব করে সবাই। এর মধ্যে যাঁরা ব্যতিক্রমী, তাঁরা ভয়ঙ্কর ভাবে একা।

মাঝেমাঝে ভাবি, এই যে এত ‘প্রাইড ওয়াক্’ (রূপান্তরকামী বা এলজিবিটি বা উভকামীদের হাঁটা) হয়, সেখানে কোনও জনপ্রতিনিধিকে তেমন করে দেখি না কেন? কোনও রূপান্তরকামী কি সাংসদ হতে পারেন না? আসলে এই রাজনীতির গল্পে কোনও নায়ক নেই! তাই এ সব কথা কেউ তোলে না। বলে না।

ভোটের বাজারেই আগামী ৪ মে আমার ও এক শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বৈত উপস্থাপনা ‘জার্নিস’-এর অনুষ্ঠান আছে, শিশির মঞ্চে। সেখানে আমি শিল্পী হিসেবে আমার রাজনীতির কথা বলব। তবে সে রাজনৈতিক চেতনার কেন্দ্রে থাকবে মানুষ— আদি ও অকৃত্রিম সাধারণ জনতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement