(বাঁ দিকে) সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি। শাহরুখ খান (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
নব্বইয়ের দশকের দর্শকদের কাছে পরিচিত মুখ তিনি। শাহরুখ খানের ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবির নায়িকা। রামগোপাল বর্মার ‘রণ’ ছবিতে শেষ বার দেখা যায় তাঁকে। কখনই গ্ল্যামরাস নায়িকা হয়ে থাকতে চানননি সুচিত্রা। বরং সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে খুঁজেছেন নিজেকে। শাহরুখের সঙ্গে ছবি করেছেন, প্রায় ৩০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবু এখনও বিভিন্ন সময় শাহরুখকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। যদিও ওই সিনেমার পর নিজেকে গায়িকা, পরিচালক, চিত্রশিল্পী— নানা ভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন। শরীর নিয়ে খুব একটা ছুতমার্গে বিশ্বাসী নন তিনি। একবার এমন এক পার্টিতে গিয়েছিলেন, যেখানে সকলেই নগ্ন। কিন্তু মিনিট কুড়ি থেকেই সেখান থেকে পালাতে হয় সুচিত্রাকে।
সুচিত্রা বরাবরই স্পষ্টবাদী। রেখেঢেখে কথা বলাটা তাঁর না-পসন্দ। এ বার বার্লিনে এক ‘নগ্ন পার্টি’-তে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি। অভিনেত্রী এমন একটি পার্টিতে গিয়েছেন, যেখানে কারও পরনে একটা সুতোয় নেই। জেনেশুনেই গিয়েছিলেন সেখানে। নিজের শরীর নিয়ে ঠিক কতটা আত্মবিশ্বাসী, সেটাই পরখ করতে চেয়েছিলেন সুচিত্রা। ভেবেছিলেন, পারবেন। কিন্তু... সেখানেই গিয়ে তাঁর অন্তরের ভারতীয় নারী যেন জাগ্রত হয়ে উঠে। গায়ত্রী মন্ত্র জপতে শুরু করেন সেখানে। যে পার্টিতে সারা রাত থাকার কথা ছিল তাঁর, মাত্র ২০ মিনিট কাটিয়ে পালিয়ে আসেন সেখান থেকে।
সুচিত্রার কথায়, “ওই পার্টিতে গিয়ে আমি বুঝেছি ,এতটাও আধুনিক হওয়া ভাল না। আমি ভারতীয় হয়েই থাকতে চাই। যদিও ওই দেশে এটা তেমন কোনও ব্যাপারই নই। আমিও গিয়েছিলাম সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। সেখানে একটা পানশালায় ওই পার্টির আয়োজন করা হয়। অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় আমাকে। আমি পালিয়ে আসি, কারণ আমি অন্যের যৌনাঙ্গ দেখতে পারব না। ওই জায়গা থেকে ফিরে এসে মনে হচ্ছিল আমার স্নানের প্রয়োজন।’’
তবে সুচিত্রা এও মনে করেন এই ধরনের পার্টিতে তেমন অশালীন কিছু নেই। আসলে আমরা ভারতীয়েরা শরীর নিয়ে একটু বেশি সচেতন, তাই এই ধরনের পরিবেশে মানিয়ে নিতে অসুবিধে হয়।