ওটিটি-প্রজন্মের মন কেড়েছেন জিতেন্দ্র।
‘শুভ মঙ্গল জাদা সাবধান’-এর আমন ত্রিপাঠীকে চেনেন? কিংবা ‘চমন বাহার’-এর বিল্লুকে? চট করে মনে করে উঠতে পারবেন না বেশির ভাগই! ‘কোটা ফ্যাক্টরি’র ‘জিতু ভাইয়া’ কিংবা ‘পঞ্চায়েত’-এর ‘সচিবজি’ ওরফে ‘অভিষেক ত্রিপাঠী’? এ বার কিন্তু এক ডাকে চিনে ফেলছেন অনেকেই! আর তার জোরেই এখন অচেনা অভিনেতা থেকে তারকা হয়ে গিয়েছেন বছর বত্রিশের জিতেন্দ্র কুমার।
আইআইটি খড়্গপুরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তেই অভিনয়ে ঝুঁকেছিলেন জিতেন্দ্র। টিভিএফ-এ যোগ দিয়ে ওটিটি-তে একের পর এক ছোট ছোট সিরিজে কাজ। ‘পার্মানেন্ট রুমমেটস’ কিংবা ‘টিভিএফ পিচারস’-এ তাঁর অভিনয় চোখ টেনেছিল ওটিটি দর্শকের। তার পর ‘শুভ মঙ্গল জাদা সাবধান’, ‘গন কেশ’, ‘চমন বাহার’-এর মতো কয়েকটি ছবিতেও দেখা যায় জিতেন্দ্রকে। তবু পরিচিতি বাড়েনি তেমন।
সব হিসেব পাল্টে দিল ২০১৯-এর ‘কোটা ফ্যাক্টরি’ এবং ২০২০-র ‘পঞ্চায়েত’! কোটার টিউটোরিয়াল হোমে পড়ুয়াদের শিক্ষক থেকে বন্ধু, গুরু, পথপ্রদর্শক হয়ে উঠেছিলেন ‘জিতু ভাইয়া’। শহুরে ‘অভিষেক ত্রিপাঠী’ ফুলেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘সচিবজি’ হয়ে তুমুল নাকানিচোবানি খেয়েও দিব্যি মানিয়ে নেন অজানা পরিবেশে, জড়িয়ে যান অচেনা মানুষদের সঙ্গে। সেখানেই জিতেন্দ্রর জিতে যাওয়ার গল্প। তাঁর সহজ-সরল অভিনয়, মাটির কাছাকাছি থাকা চরিত্রে মজে গেলেন দর্শক। ‘কোটা ফ্যাক্টরি’ আর ‘পঞ্চায়েত’-ও নিমেষে নাম লেখাল জনপ্রিয়তার খাতায়।
দুই সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে নিজেকেই যেন ছাপিয়ে গিয়েছেন জিতেন্দ্র। তাঁর নজরকাড়া অভিনয়ে আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছে ‘কোটা ফ্যাক্টরি ২’। ‘পঞ্চায়েত’-এর সাফল্যকে টেক্কা দিয়ে বাড়তি অনেকখানি প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘পঞ্চায়েত ২’-ও। সাধে কি মুখে মুখে ফিরছে ‘সচিবজি’র নাম!